বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সুপ্রিম কোর্টের ৫১তম প্রধান বিচারপতি হয়েছেন জাস্টিস সঞ্জীব খান্না (CJI Sanjiv Khanna)। ১১ নভেম্বর তথা সোমবার শপথ গ্রহণ করেছেন তিনি। এরপরেই জরুরি শুনানির আবেদন নিয়ে বড় মন্তব্য করলেন। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চর্চা।
জরুরি শুনানি নিয়ে কী বললেন নতুন সিজেআই (CJI Sanjiv Khanna)?
১০ নভেম্বর সর্বোচ্চ আদালতের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতির পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেছেন ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। সেই জায়গায় নতুন সিজেআই হয়েছেন অভিজ্ঞ বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। এই দায়িত্ব গ্রহণ করার পরেই জরুরি শুনানির আবেদন নিয়ে বড় মন্তব্য করলেন তিনি। বললেন, এবার থেকে শুধু মৌখিকভাবে জরুরি শুনানি আর্জি জানালে হবে না, ইমেল অথবা চিঠির মাধ্যমে তা করতে হবে।
একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মঙ্গলবার এই বিষয়টি পরিষ্কার করে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না (CJI Sanjiv Khanna)। আইনজীবীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘কোনও মৌখিক কথা নয়, ইমেল কিংবা চিঠি পাঠান’। সেই ইমেল বা চিঠিতে দ্রুত শুনানির কারণও উল্লেখ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর ’অত্যাচার’ নিয়ে কলকাতায় মিছিল! শর্তসাপেক্ষে অনুমতি দিয়ে হাইকোর্ট বলল…
উল্লেখ্য, গতকাল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি (Chief Justice of India) হিসেবে শপথ গ্রহণ করার পরেই কোন কোন বিষয় অগ্রাধিকার দিয়ে বিবেচিত হবে সেটার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছেন বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। গতকাল রাতেই নতুন সিজেআইয়ের একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। সেখানে বেশ কিছু কথা তুলে ধরা হয়েছে।
আইন বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বিবৃতি সম্বন্ধে বিশদে তুলে ধরা হয়েছে। নতুন সিজেআই চান, এদেশের সাধারণ মানুষ আরও সহজে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারুক। একইসঙ্গে তাঁরা যাতে আদালতের নানান আইনি প্রক্রিয়া সহজে অনুধাবন করতে পারেন, সেই বিষয়েও জোর দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি খান্না।
একইসঙ্গে বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে সময়ের ব্যবধান হ্রাস করতে একটি সুশৃঙ্খল পদ্ধতিতে কাজ করতে চান নতুন প্রধান বিচারপতি (CJI Sanjiv Khanna)। পাশাপাশি বিচারের ক্ষেত্রে আইনি প্রক্রিয়া যাতে আমজনতার প্রতি নিষ্ঠুর না হয়ে যায় সেটাকেও সুনিশ্চিত করতে চান তিনি। উল্লেখ্য, গতকাল এদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন জাস্টিস খান্না। ২০২৫ সালের ১৩ মে তিনি অবসর গ্রহণ করবেন।