বাংলা হান্ট ডেস্কঃ খুব বেশিদিন হয়নি সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি পদে আসীন হয়েছেন বিচারপতি সঞ্জীব খান্না (CJI Sanjiv Khanna)। গত নভেম্বর মাসে সিজেআইয়ের পদ থেকে অবসর নিয়েছেন ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় (DY Chandrachud)। এরপর এই দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়ে শীর্ষ আদালতের অভিজ্ঞ বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার হাতে। এবার তিনিই এক বিদায়ী জাস্টিসকে প্রশংসায় ভরালেন।
কোন বিচারপতির যাত্রাকে ‘অনুপ্রেরণা’ বললেন সিজেআই খান্না (CJI Sanjiv Khanna)?
সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের তরফ থেকে বিচারপতি সি টি রবিকুমারের জন্য বিদায়ী সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই তাঁর যাত্রাকে উল্লেখযোগ্য বলেন এদেশের প্রধান বিচারপতি। একইসঙ্গে বলেন, ‘এই যাত্রা আমাদের অনুপ্রেরণা’।
সিজেআই সঞ্জীব খান্না (CJI Sanjiv Khanna) বলেন, ‘সততার স্বর্ণালী সুতোয় শীর্ষ আদালতের ঐতিহ্য তৈরি হয়েছে। বিচারপতি রবিকুমারের মতো বিচারপতিরা নিজেদের কাজের মাধ্যমে সেই স্বর্ণালী সুতো তৈরি করেছেন। স্থির আলোকবর্তিতা যেভাবে জাহাজকে পথ প্রদর্শন করে, সেভাবেই তিনি জ্ঞানের মাধ্যমে ন্যায়বিচারের পথ নিয়ন্ত্রণ করেছেন’।
আরও পড়ুনঃ ‘এই প্রথম কোনও মুখ্যমন্ত্রী…’! মমতাকে ফালাফালা আক্রমণ! কোন ইস্যুতে খোলা চিঠি লিখলেন শুভেন্দু?
ছোট্ট একটি গ্রাম থেকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হয়েছেন সি টি রবিকুমার (Justice CT Ravikumar)। প্রধান বিচারপতি বলেন, যারা শহরে বড় হয়েছেন, তাঁরা বিদায়ী বিচারপতি রবিকুমারের এই যাত্রা কতখানি কঠিন তা বুঝতে পারবেন না। সিজেআই খান্নার কথায়, ‘এই যাত্রা আমাদের অনুপ্রেরণা। আদালতের সঙ্গে বিচারপতি রবিকুমারের পরিচয় তাঁর বাবার মাধ্যমে। তিনি একজন বেঞ্চ ক্লার্ক ছিলেন’।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে জাস্টিস রবিকুমারের ওপর বিচারবিভাগীয় কাজের চাপ থাকলেও সেটা সামলে প্রত্যেক বছর শবরীমালা মন্দিরে যান তিনি। বিদায়ী সংবর্ধনায় একথা জানান এদেশের প্রধান বিচারপতি। সিজেআই খান্না (CJI Sanjiv Khanna) বলেন, কেরলের সৌন্দর্য বিচারপতি রবিকুমারের বেশ পছন্দ। সেই কারণে বারবার সেখানে ফিরে যান তিনি। পরিবারের সঙ্গে ঘুরতে যান। প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘এখন আমি বিচারপতি রবিকুমারের আত্মবিশ্বাস এবং চারিত্রিক উষ্ণতার উৎস বুঝতে পারছি। এর জন্য দায়ী তাঁর শিকড়’।