বাংলাহান্ট ডেস্কঃ হাসপাতাল থাকে শিশু চুরির ( Child Trafficking) মতো ঘটনা প্রায়শই নজরে আসে, কিন্তু কে বা কারা এই অপরাধের (Offence) সাথে যুক্ত? এরকম ঘটনা নজরে এলেই সর্বপ্রথম ওই হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিল করা হবে। এই ধরণের অপরাধ প্রতিরোধের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সাফ নির্দেশ জানিয়ে দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
শিশুপাচারের অপরাধে দেশব্যপী কী নির্দেশ জানালো সুপ্রিম কোর্ট ?
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) ডিভিশন বেঞ্চে একটি আবেদনের ভিত্তিতে বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি আর মহাদেবন একটি নির্দেশিকা জারি করেন। নির্দেশ অনুযায়ী এই ধরণের জঘন্যতম অপরাধমূলক কাজে যারা যুক্ত থাকে তাদের জামিনের বিরোধীতা করে এবং কোনও হাসপাতালে শিশু পাচারের মতো ঘটনা নজরে আসলে ওই হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিল করা হবে বলে নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে হাইকোর্টকে নির্দেশ দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, “কোনও হাইকোর্টে কত শিশু পাচার মামলা দায়ের হয়েছে ,তার খতিয়ান বের করে সামনে আনতে হবে”।
কিছু দিন আগে উত্তরপ্রদেশে ( Uttar Pradesh) শিশু পাচারের যে ঘটনা ঘটেছিল নিয়ে তীব্র সমালোচনা হয়েছে ।মূল অভিযুক্তের পুত্রসন্তান না থাকায় ,চার লাখ টাকার বিনিময়ে তিনি সন্তান কেনেন এক ব্যক্তির থেকে , তিনি জানতেন এটা পাচারকৃত শিশু তা সত্ত্বেও মূল্যের বিনিময়ে এই জঘন্যতম অপরাধ করেন। শিশু পাচারের ঘটনা নজরে এলে অভিযুক্তদের জামিন দিয়েছিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট (Allahabad)। এই প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট জানায় ‘শিশু পাচার কান্ডে জড়িত ব্যক্তিরা সমাজের জন্য হানিকারক। অপরাধীদের জামিনের ক্ষেত্রে তদন্তকারী মামলায় অভিযুক্তদের জামিনের ক্ষেত্রে কিছু শর্তসাপেক্ষতা বজায় রাখা উচিৎ হাইকোর্টের।অভিযুক্তদের নিয়মিত থানায় এসে হাজিরা দেওয়া দরকার, জামিনের পর তাদের খুঁজে পাচ্ছেনা পুলিশ ‘।
এলাহাবাদের শিশু পাচারের মামলায় অভিযুক্তকে আত্মসমর্পণের পর বিচারবিভাগীয় হেফাজতে যাওয়ার নির্দেশ জানানো হয়, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা জারি করে জানায়, ” এক সপ্তাহের মধ্যে চার্জ গঠনের করে, অভিযুক্তদের জামিন খারিজ করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে , মামলার দ্রুত শুনানি করবে নিম্ন আদালত “। উত্তরপ্রদেশের এই ঘটনা খুবই হতাশাজনক এবং নিন্দনীয় বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
আরও পড়ুনঃ রাহানের এই একটি ভুলেই ঘুরে গেল খেলা! পাঞ্জাবের কাছে কীভাবে জেতা ম্যাচ হারল KKR?
হাসপাতালে শিশু চুরির মতো অপরাধ নজরে এলেই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি পারদিওয়ালা। “কোনও আদালতে রিপোর্ট অনুযায়ী ভারতে প্রতিবছর প্রায় ২ হাজার শিশু পাচার হচ্ছে। ন্য়াশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গেছে ২০২২ সালে ২২৫০টি শিশু পাঁচার মামলা দায়ের হয়েছে যার মধ্যে অধিকাংশই ভারতের তেলেঙ্গানা, মহারাষ্ট্র এবং বিহার রাজ্য়ের। এই ধরণের অপরাধ সামনে এলে তা আদালত অবমাননা হিসেবে গণ্য করা হবে।