বাংলাহান্ট ডেস্ক : এই মুহূর্তে সর্বত্রই ভারত পাকিস্তান সংঘাতের খবরে উত্তাল হয়ে রয়েছে। আঘাত প্রত্যাঘাতের মধ্যে দিয়ে পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। এর মাঝেই দেশের অভ্যন্তরে ঘটে গেল আরেক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। অগ্নিকাণ্ডের পর দিল্লি হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি যশবন্ত ভার্মার বাড়ি থেকে উদ্ধার নগদ টাকার রহস্যকে ঘিরে তদন্তের রিপোর্ট আসার পরেই তাঁর কাছে ইস্তফাপত্র চাইলেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না।
দিল্লি হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতির বিরুদ্ধে তদন্তে কমিটি গঠন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)
দিল্লি হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি যশবন্ত ভার্মার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় নগদ ১৫ কোটি টাকা। কোথা থেকে এল এত টাকা? এই প্রশ্নের মাঝেই বিষয়টি নিয়ে শুরু হয় তদন্ত! আর তারপরেই গত ২২ শে মার্চ পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি, হিমাচল প্রদেশ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি এবং কর্ণাটক হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতিকেও পাঠানো হয়েছে রিপোর্ট: ওই তিন সদস্যের কমিটির তদন্তের রিপোর্ট ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে পাঠিয়েছেন শীর্ষ আদালতের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি। বৃহস্পতিবার এক সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইউ হাউস প্রসিডিওরের পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী উভয়কেই চিঠি দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। তার সঙ্গে ৩.০৫.২০২৫ তারিখের তিন সদস্যের কমিটির তদন্তের রিপোর্টের একটি অনুলিপি রয়েছে। সঙ্গে ৬.০৫.২০২৫ তারিখে বিচারপতি যশবন্ত ভার্মার কাছ থেকে প্রাপ্ত একটি জবাবি চিঠিও যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।
আরো পড়ুন : ভাঁড়ে মা ভবানী, সংঘর্ষ চালাতে চাই ফান্ড, পাকিস্তান হাত পাততেই কটাক্ষ ভারতের! ট্রোলের ঝড় নেটপাড়ায়
অপসারণের জন্য সুপারিশ রাষ্ট্রপতির: শোনা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই নাকি দিল্লি হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি যশবন্ত ভার্মার অপসারণ প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ করেছেন। এই মর্মে তদন্ত কমিটি রিপোর্ট দেওয়ার পরেই বিচারপতি ভার্মার কাছে ইস্তফাপত্র চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)।
আরো পড়ুন : পশ্চিমের হাল দেখেই কেঁপে অস্থির পূর্বের প্রতিবেশী, হিন্দুদের নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত ইউনূসের
প্রসঙ্গত, গত ৫ ই এপ্রিল এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি হিসাবে শপথ গ্রহণ করেন বিচারপতি ভার্মা। এদিকে তদন্ত কমিটি রিপোর্ট জমা দেওয়ার পরেই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি যশবন্ত ভার্মাকে একটি চিঠির সঙ্গে রিপোর্টের একটি কপি পাঠিয়েছেন। সেখানেই রিপোর্টের শুরুতে পদত্যাগের বিকল্প উল্লেখ করা হয়েছে বলে খবর।