মিললো না স্বস্তি! দেশে ফিরতেই ‘সুপ্রিম’ ধাক্কা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) ধুন্ধুমার রাজ্যে। শিক্ষক কেলেঙ্কারির অভিযোগে ধৃত জেলবন্দি কুন্তল ঘোষের চিঠি সূত্র ধরে উঠে এসেছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নাম। এরপরই আদালতের নির্দেশে শুরু হয় তদন্ত।

পূর্বে সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) যান অভিষেক। তবে আদালত সেই আর্জি ফিরিয়ে দেয়। এরপর সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয় নেতা। তবে সেখানেও জোর ধাক্কা। হাইকোর্টের পর এবার সুপ্রিম কোর্টেও (Supreme Court) অস্বস্তি।

এদিন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা CBI এবং ED- র তদন্তের বিরুদ্ধে সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ প্রদানের আজি খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালতে। কলকাতা হাইকোর্টের পর এবার জোর ধাক্কা সুপ্রিম কোর্টেও।

আরও পড়ুন: লাগামছাড়া বৃষ্টি! এবার ভয়ঙ্কর অবস্থা হবে এই ৬ জেলায়, জারি অ্যালার্ট: আবহাওয়ার খবর

সোমবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এই আবেদন খারিজ করে জানায়, ‘শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি এবং পুরসভা নিয়োগ কেলেঙ্কারির সম্পর্ক থাকার সম্ভাবনা রয়েছে৷’ তদন্তকারী সংস্থার তরফে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এস ডি রাজু তদন্তের পক্ষে সওয়াল করেন।

বলেন, অযোগ্য প্রার্থীরা শিক্ষক হওয়ার সময় ৩৫০ কোটি টাকার হাত বদল হয়েছে। অভিযোগ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্যও জড়িত ছিলেন। শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারির তদন্ত করতে গিয়ে বহু তথ্য উঠে এসেছে। অনেক ওএমআর শিট নষ্ট করা হয়েছে। বিপুল টাকা, গয়না সহ শিক্ষামন্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ফের মোয়াজ্জেম-ইমাম ভাতা বাড়িয়ে দিলেন মমতা! টাকার অঙ্ক শুনলে ভিরমি খাবেন

এদিকে সিনিয়র অ্যাডভোকেট কপিল সিবালের পাল্টা সওয়াল, ‘এখানে ED-র কোনও এখতিয়ারই নেই। আবেদনকারী পক্ষ জানায়, এই নির্দেশে কারণে রাজ্যকে কোনও অভিযোগের প্রাথমিক তদন্ত করার সুযোগ দেওয়া হয়নি৷’

দুপক্ষের বক্তব্য শুনে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘সিবিআই তদন্ত এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। মে আদেশের পর থেকে এখন অনেক জল বয়ে গিয়েছে।’ আদালতের পর্যবেক্ষণ, এটা স্পষ্ট যে পুরসভা নিয়োগ এবং শিক্ষক নিয়োগে জড়িত একই ব্যক্তি ওএমআর শিট তৈরির কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত৷

supreme court

এরপরেই অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের আর্জি খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। পিটিশনে, কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়া হয়েছিল। বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়ের দেওয়া আদেশের অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশের আর্জি খারিজ করে দিয়েছিল ডিভিশন বেঞ্চ।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর