বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দিল্লি হাইকোর্টের (Delhi High Court) পর এবার সুপ্রিম কোর্টেও (Supreme Court) বড়সড় ধাক্কা খেলেন অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন (Saygal Hossain)। ফলে গরু পাচার মামলায় তাঁকে দিল্লিতে (Delhi) নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করায় আর কোনরকম বাধা রইল না এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (Enforcement Directorate)। এদিন সুপ্রিম কোর্টে সায়গলের আবেদন খারিজ হয়ে যায়; ফলে সব মিলিয়ে অস্বস্তি আরো বাড়লো অনুব্রতর প্রাক্তন এই দেহরক্ষীর।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে গরু পাচার মামলায় উত্তপ্ত রয়েছে বঙ্গ রাজনীতি। এই কাণ্ডে সর্বপ্রথম গ্রেফতার করা হয় তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠ তথা তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে। এক্ষেত্রে সায়গলের নিকট হতে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ পায় তদন্তকারী অফিসাররা। একজন সাধারণ দেহরক্ষী হয়ে কি করে তাঁর কাছে এত বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি এলো, তা খুঁজে বের করতে তৎক্ষণাৎ গ্রেফতার করা হয় সায়গলকে।
বিগত বেশ কয়েক মাস ধরে হেফাজতের ভিতরেই রয়েছেন সায়গল হোসেন। এক্ষেত্রে তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসার পাশাপাশি সম্প্রতি অনুব্রত দেহরক্ষীকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার আবেদন করে ইডি। তবে প্রথমে কলকাতা হাইকোর্টে তাদের সেই আবেদন খারিজ হয়ে গেলেও পরবর্তীতে দিল্লির রাউস এভিনিউ কোর্টে আবেদন করে তারা। এক্ষেত্রে দিল্লির আদালতের তরফ থেকে রায়দান হিসেবে জানানো হয়, “সায়গল হোসেনকে দিল্লির ইডি দপ্তরে নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে তদন্তকারী অফিসাররা।” পরবর্তীতে দিল্লি হাইকোর্টও তাদের সেই নির্দেশকেই বহাল রাখে।
উল্লেখ্য, দিল্লি হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ হন সায়গল হোসেনের আইনজীবী। তবে এদিন শুনানি শেষে তাঁর সেই আবেদন খারিজ করে দিলেন শীর্ষ আদালতের বিচারপতি ইউ ইউ ললিত। অর্থাৎ সায়গলকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ায় আর কোনরকম বাধা রইল না।
প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলায় সম্প্রতি গ্রেফতার হন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অনুব্রত মণ্ডল। এক্ষেত্রে অনুব্রত ও তাঁর ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের নিকট কোটি কোটি সম্পত্তির হদিশ পায় সিবিআই। একইসঙ্গে তৃণমূল নেতার মেয়ের নামে একাধিক সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, গরু পাচার কাণ্ডে অনুব্রতর হয়ে কাজ করতেন সায়গল হোসেন। এক্ষেত্রে তাঁকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে একাধিক নয়া তথ্য সামনে আসবে বলেই অনুমান তাদের।