বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সদ্য মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হয়েছে। বাজিমাত করেছে শিন্ডের শিবসেনা। উদ্ধবের দলের চেয়ে অনেক বেশি আসনে জয়ী হয়েছে তারা। এরপরেই সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়কে (EXx CJI DY Chandrachud) নিশানা করেছিলেন উদ্ধব শিবিরের নেতা সঞ্জয় রাউত। এবার পাল্টা দিলেন প্রাক্তন সিজেআই।
সঞ্জয়ের মন্তব্যের পাল্টা কী বললেন চন্দ্রচূড় (Ex CJI DY Chandrachud)?
শিবসেনা ভেঙে যাওয়ার পর সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয়েছিল উদ্ধব শিবির। যদিও সেই মামলায় তাঁদের পক্ষে রায় দেয়নি এদেশের সর্বোচ্চ আদালত। বরং মহারাষ্ট্রের তৎকালীন স্পিকারকে এই বিষয়ে অবিলম্বে সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর দলত্যাগ বিরোধী আইনে একনাথ শিন্ডে গোষ্ঠীর কোনও বিধায়কই সদস্যপদ খোয়াননি। সম্প্রতি বিধানসভা নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর এই নিয়ে দেশের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়কে নিশানা করেন সঞ্জয় (Sanjay Raut)।
এবার জনপ্রিয় এক সংবাদসংস্থার কাছে এই নিয়ে মুখ খুললেন সুপ্রিম কোর্টের সদ্য প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি। চন্দ্রচূড় (Ex CJI DY Chandrachud) বলেন, ‘আমরা সারা বছরই সাংবিধানিক বিষয়ক মামলা শুনে গিয়েছি। কখনও ৯ বিচারপতির বেঞ্চ, কখনও ৭ বিচারপতির বেঞ্চ, কখনও আবার ৫ বিচারপতির বেঞ্চ মামলা শুনেছে ও তার ওপর রায়দান করেছে। এমতাবস্থায় কোনও একজন ব্যক্তি অথবা নির্দিষ্ট কোনও রাজনৈতিক দল এই সিদ্ধান্ত নিতে পারে সুপ্রিম কোর্ট কোন মামলা শুনবে? সরি, এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার প্রধান বিচারপতির’।
আরও পড়ুনঃ ‘আগামী সোমবারই..,’ পার্থ মামলায় এবার যা বললেন বিচারপতি! তোলপাড় রাজ্য
এদিকে মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর এদেশের প্রাক্তন সিজেআই (Chief Justice of India) চন্দ্রচূড়কে বেনজির আক্রমণ শানান সঞ্জয়। দাবি করেন, দলত্যাগীদের মন থেকে আইনের ভয় মুছে ফেলেছেন দেশের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি।
সঞ্জয়ের কথায়, ‘উনি (সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়) দলত্যাগীদের মন থেকে আইনের ভয় মুছে ফেলেছেন। ইতিহাসের পাতায় ওনার নাম কালো অক্ষরে লেখা থাকবে’। উদ্ধব শিবিরের এই নেতার দাবি, শিবসেনার ‘বিদ্রোহী’ বিধায়কদের নিয়ে সিদ্ধান্ত না নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি দলত্যাগীদের জন্য রাস্তা খুলে দিয়েছেন। এবার তাঁর এই মন্তব্যের পাল্টা দিলেন চন্দ্রচূড় (Ex CJI DY Chandrachud) নিজে। কোনও একজন ব্যক্তি অথবা নির্দিষ্ট কোনও রাজনৈতিক দল এবার সিদ্ধান্ত নেবে সুপ্রিম কোর্টের কোন মামলা শোনা উচিত? প্রশ্ন তাঁর।