বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হু হু করে বাড়ছে বেসরকারি স্কুল, কলেজ, হাসপাতালের (Private Hospital) রমরমা। শহর থেকে শুরু করে শহরতলি, প্রায় সর্বত্রই গজিয়ে উঠেছে বেসরকারি হাসপাতাল। গোটা দেশেই কমবেশি দেখা যায় এক চিত্র। এবার এই নিয়ে বড় নির্দেশ দিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। রাজ্যগুলি (State Government) চিকিৎসা পরিকাঠামোর উন্নয়ন করতে ব্যর্থ। সেই কারণে দেশে বেসরকারি হাসপাতালের এত রমরমা। সম্প্রতি এক মামলায় এমনই মন্তব্য করেছে শীর্ষ আদালত।
বড় নির্দেশ দিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)!
বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করানো বেশ ব্যয়সাপেক্ষ। তবু উন্নতমানের পরিষেবা পাওয়ার আশায় অনেকেই সেখানে যান। সেই সঙ্গেই আবার রয়েছে হাসপাতালের সুপারিশ করা ফার্মেসি থেকে রোগীদের ওষুধ কিনতে বাধ্য করার মতো বিষয়। এই নিয়েই শীর্ষ আদালতে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। তার প্রেক্ষিতেই সর্বোচ্চ আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়ল রাজ্যগুলি।
সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্য কান্ত (Justice Surya Kant) এবং বিচারপতি এন কোটেশ্বর সিংয়ের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি ছিল। সেই সময়ই বিচারপতিরা বলেন, এদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির অনুপাতের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সব শ্রেণির রোগীর জন্য চিকিৎসা পরিকাঠামো গড়তে ব্যর্থ হয়েছে রাজ্যগুলি। এভাবেই তারা পরোক্ষভাবে চিকিৎসা ক্ষেত্রে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিকে জায়গা করে দিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ আরজি কর কাণ্ডে বড় খবর! ক্রাইম সিনের প্রমাণ নিয়ে যা হল… ফের মামলায় নয়া মোড়?
এর ফল স্বরূপ বর্তমানে নানান বিষয়ে একাধিক বেসরকারি বিশেষজ্ঞ হাসপাতাল (Hospital) গজিয়ে উঠেছে। সেখানে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি সরকারগুলিও প্রাথমিক এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা পরিষেবাগুলির জন্য তাকিয়ে থাকে।
এদিকে সংবিধানের চতুর্থ পরিচ্ছেদ অর্থাৎ ডাইরেক্টরেট প্রিন্সিপালস অফ স্টেট পলিসি অনুসারে সকল নাগরিকের সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার অনুসারে চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার সুনিশ্চিত করার দায়িত্ব রয়েছে রাজ্যগুলির কাঁধে। সেক্ষেত্রে তারা নিজেদের এই দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারে না। সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) তরফ থেকে একথা উল্লেখ করে সকল রাজ্যকে এই বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নীতি প্রণয়ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।