বাংলাহান্ট ডেস্কঃ মাত্র ১ টাকা জরিমানা, না দিলে ৩ মাসের জেল! শুনে অবাক হচ্ছেন? এমনটাই রায় দিল মহামান্য সুপ্রিমকোর্ট (supreme court)। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে তোলপাড় হওয়া আইনজীবি প্রশান্ত ভূষনের শাস্তির শেষ পর্যন্ত ১ টাকা জরিমানা করবার সিদ্ধান্ত নিল বিচারপতি অরুন মিশ্রের বেঞ্চ। একই সাথে রায়ে জানানো হয়েছে ১ টাকা জরিমানা না দিলে তাকে ৩ মাস কারাদন্ড ভোগ করতে হবে। একই সাথে আগামী ৩ বছর প্র্যাকটিস করতেও পারবেন না তিনি।
বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে বিতর্কের পর অবশেষে প্রশান্তভূষণের শাস্তির বিষয়ে সিদ্ধান্তে এল সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার বিচারপতি অরুণ মিশ্রের বেঞ্চে মামলার অন্তিম শুনানিতে স্থির হয়, তাঁকে ১ টাকা জরিমানা দিতে হবে। অন্যথায় ৩ মাসের কারাদণ্ড এবং ৩ বছর সমস্ত ধরনের আইনি প্র্যাকটিস থেকে বরখাস্ত করা হবে তাঁকে। যদিও এই শুনানির পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতে অস্বীকার করেন বিচারকরা।
সম্প্রতি দেশের সর্বোচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি এবং আরও ৪ বিচারপতির কাজের সমালোচনা করে টুইট করেছিলেন এই আইনজীবী। দুটি পৃথক টুইটে সুপ্রিম কোর্টের সমালোচনা করার পরই শুরু হয় চাঞ্চল্য। নেট জনতা দুভাগে ভাগ হয়ে যায়। অনেকেই যেমন তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন তেমনই অনেকেই এই টুইট দুটির জন্য তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন তাকে। ১৪ আগস্ট তার বিরুদ্ধে শুরু হয় আদালত অবমাননার মামলা।
বিচারের শুরু থেকেই বারবার তাকে ক্ষমা চেয়ে নিতে বলেন বিচারপতিরা। কিন্তু নিজ বিশ্বাসে অটল প্রশান্ত ভূষন বলেন, তিনি যা সত্যি মনে করেছেন তাই বলেছেন। তার জন্য তিনি ক্ষমা চাইবেন না। একই সাথে তিনি প্রশ্ন তোলেন, বিচারব্যবস্থার ভিতরে থাকা দুর্নীতি নিয়ে সরব হওয়া আদেও আদালত অবমাননা বলে গন্য করা যায় কিনা।
এই বরিষ্ঠ আইনজীবী পাশে পান ছাত্রদেরও। সারা দেশের ১২২ জন আইন পড়ুয়া সুপ্রিম কোর্টে পিটিশনও জমা দেয় তার পক্ষে৷ তাঁর অটল মনোভাব বার বার দ্বন্দ্বে ফেলেছে বিচারকদের। শেষ পর্যন্ত তারা ১ টাকা জরিমান করেন। যদিও এটি আদেও জরিমানা নাকি প্রশান্ত ভূষনের সাহস ও অটল মনোভাবের কাছে হার! তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে নেটপাড়া।