বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সাম্প্রতিক অতীতে একাধিক মামলার শুনানির সময় বিচারব্যবস্থার দীর্ঘসূত্রিতার কথা উঠে এসেছে। বর্তমানে এদেশের আদালতগুলিতে ঝুলে রয়েছে হাজার হাজার মামলা। এবার সেগুলির দ্রুত নিষ্পত্তির জন্যই নজিরবিহীন উদ্যোগ নিল সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। জানা যাচ্ছে, মূলত ফৌজদারি মামলাগুলির দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কী সিদ্ধান্ত নিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)?
জানা যাচ্ছে, এদেশের বহু হাইকোর্টে (High Court) বিচারপতি ও বিচারবিভাগের কর্মীদের অভাব রয়েছে। যে কারণে বছরের পর বছর ধরে সেখানে হাজার হাজার মামলা ঝুলে রয়েছে। সেই তালিকায় আছে বহু ফৌজদারি মামলা। সুপ্রিম কোর্ট মনে করছে, অন্তত এই ধরণের মামলাগুলির দ্রুত নিষ্পত্তি হওয়া দরকার। সেই কারণে হাইকোর্টগুলিতে অস্থায়ী বিচারপতি নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শীর্ষ আদালত।
২২৪-এ ধারা অনুসারে অ্যাড হক বিচারপতি নিয়োগ করতে পারে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। এবার দ্রুত অ্যাড হক বিচারপতি নিয়োগ করে বিচারব্যবস্থার দীর্ঘসূত্রিতা কাটাতে উদ্যোগী সর্বোচ্চ আদালত। জানা যাচ্ছে, এই নিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেলের মতামত চাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ সুপ্রিম কোর্টে পিছিয়ে গেল আরজি কর মামলার শুনানি! পরবর্তী শুনানি কবে? সামনে দিনক্ষণ
রিপোর্ট বলছে, সুপ্রিম কোর্টের কাছে থাকা তথ্য অনুসারে, বর্তমানে এদেশের হাইকোর্টগুলিতে সাড়ে তিন দশক পুরনো মামলাও ঝুলে রয়েছে। বিভিন্ন রাজ্যের হাইকোর্টগুলিতে কয়েক হাজার মামলা ঝুলে রয়েছে। শুধুমাত্র এলাহাবাদ হাইকোর্টেই (Allahabad High Court) নাকি সংখ্যাটা ৬৩,০০০। পাঞ্জাব-হরিয়ানা হাইকোর্টে ২১,০০০ এবং কর্ণাটক, পাটনা হাইকোর্টে ২০,০০০ করে মামলার নিষ্পত্তি হয়নি। দেশের সব আদালত মিলিয়ে নিষ্পত্তি না হওয়া মামলার সংখ্যা লক্ষাধিক।
সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্য, হাইকোর্টগুলিতে এত হাজার হাজার মামলা ঝুলে থাকার প্রভাব পড়ছে সংশোধনাগারগুলিতে। সেখানে কয়েক হাজার বিচারাধীন অভিযুক্ত বন্দি রয়েছেন। বহু মানুষ সুবিচারের আশায় সেখানে দিন কাটাচ্ছেন। শীর্ষ আদালত মনে করছে, দ্রুত বিচারপতি নিয়োগ না করা হলে এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়। সেই জন্য হাইকোর্টগুলিতে অস্থায়ী বিচারপতি (Ad Hoc Judges) নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর।
সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) অবশ্য পরিষ্কার করে দিয়েছে, ২২৪-এ ধারা অনুযায়ী বিচারপতি নিয়োগ করা হচ্ছে মানে এই নয় যে স্থায়ী বিচারপতি নিয়োগ করা হবে না। তবে এই মুহূর্তে দেশের হাইকোর্টগুলিতে ঝুলে থাকা মামলার চাপ কমাতে অস্থায়ী বিচারপতি নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।