বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সুপ্রিম কোর্ট পশ্চিমবঙ্গে ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তের দাবি করার আবেদনের শুনানিতে কেন্দ্র আর পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে নোটিশ জারি করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পক্ষ বানানো হলেও ওনাকে কোনও নোটিশ জারি করা হয়নি। বিচারপতি বিনীত শরণের নেতৃত্বাধীন সাংবিধানিক বেঞ্চ কেন্দ্র আর বাংলার সরকারকে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে নোটিশ জারি করেছে।
সুপ্রিম কোর্ট এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকেও নোটিশ জারি করেছে। শীর্ষ আদালত নির্বাচন কমিশনের কাছেও জবাবদিহি চেয়েছে। লখনউ-এর আইনজীবী রঞ্জনা অগ্নিহোত্রী বাংলার ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি তুলে সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলা করেছিলেন। সেই মামলার পরিপেক্ষিতে কেন্দ্র আর রাজ্য সরকারকে নোটিশ জারি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বাংলার ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে শীর্ষ আদালতে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে। এছাড়াও গোটা দেশের ২ হাজারের বেশি মহিলা আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিকে চিঠি লিখে বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসার পর নারী নির্যাতনের মামলা নিয়ে সরব হয়েছিলেন। আরেকদিকে, দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোভিন্দকে চিঠি লিখে বাংলার হিংসা নিয়ে অবগত করিয়েছিলেন।
দিন কয়েক আগে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির সাত সদস্যের রিপোর্ট জমা পড়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে। সেই রিপোর্টে বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে চাঞ্চল্যকর নথি পেশ করা হয়েছে। রিপোর্টে এও বলা হয়েছে যে, বাংলার ভোট পরবর্তী হিংসায় ৭ হাজারের বেশি মহিলা আক্রান্ত হয়েছে। রাজ্যের ১৫টি জেলায় তুমুল হিংসার কথা উল্লেখ করা হয়েছে ওই রিপোর্টে।
দু’দিন আগে রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার মামলার তদন্ত করতে আসা টিমের উপরেও হামলার অভিযোগ উঠেছে। যাদবপুরে ৪০টি বাড়িঘর ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়ার পর NHRC-এর প্রতিনিধি দল সেখানে পর্যবেক্ষণে যান। আর সেই সময় তাঁদের উপর হামলার অভিযোগ ওঠে। তবে সুপ্রিম কোর্টের এই নোটিশের পর বাংলার ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে কোনও সুরাহা হয় নাকি, সেটাই দেখার বিষয়।