DA মামলা নিয়ে বড় আপডেট, সুপ্রিম শুনানির আগেই নয়া পদক্ষেপের ইঙ্গিত আন্দোলনকারীদের

বাংলা হান্ট ডেস্ক : বহুদিন ধরেই কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র (Dearness Allowance) দাবিতে আন্দোলন করে আসছে বাংলার রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। আর এবার খবর, আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি এই DA মামলার শুনানি হতে পারে সুপ্রিম কোর্টে। এইদিন সরকারি কর্মচারি পরিষদের সভাপতি দেবাশিস শীল জানিয়েছেন, ‘আমরা ৫ তারিখের দিকে তাকিয়ে রয়েছি। দ্রুত শুনানির জন্য যা যা আইনি পদক্ষেপ আছে তা করা হচ্ছে।’

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর এই DA মামলার প্রথম শুনানি হওয়ার কথা ছিল। তবে সেইদিন শুনানি স্থগিত রাখা হয়। এরপর আরও ৯ টি তারিখ দেওয়া হলেও এর কোনোটাতেই মামলার শুনানি হয়নি। সরকারি কর্মচারী পরিষদের তরফে নন মিসলেনিয়াস তারিখের আর্জি জানানো হলেও আপাতত মামলাটি মিসলেনিয়াস তারিখেই রয়েছে।

মামলা প্রসঙ্গে সরকারি কর্মচারি পরিষদের সভাপতি দেবাশিস শীল জানিয়েছেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে এই মামলাটি লড়ে যাচ্ছি। এর আগে SAT, কলকাতা হাইকোর্টে আমাদের জয় হয়েছিল। আমরা আশাবাদী যে সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের দায়ের করা SLP খারিজ হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে আর DA না দেওয়ার উপায় থাকবে না সরকারের কাছে।’

আরও পড়ুন : জ্ঞানবাপী মামলায় ফের বড় ধাক্কা মুসলিম পক্ষের, মসজিদ কমিটির আর্জি নাকচ করল এলাহবাদ হাই কোর্ট

আজকের দিনে দাঁড়িয়ে মামলা এমন জায়গায় যেখান থেকে আর পিছিয়ে আসাও অসম্ভব বলে জানিয়েছেন তিনি। অর্থাৎ যতদিন না কেন্দ্রীয় হারে ডিএ মিলছে ততদিন এই লড়াই জারি থাকবে একথা স্পষ্ট। যদিও গত বছর বড়দিনে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য ৪ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে আন্দোলনকারীরা বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, এই চার শতাংশে তারা ভুলছেননা।

আরও পড়ুন : হাজার চেষ্টাতেও আটকানো গেল না, ‘ফাঁস’ মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্ন, অপরাধীকে শনাক্ত করল পর্ষদ

উল্লেখ্য, পূর্বে মামলাটি যখন স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল বা SAT-এ ওঠে তখন সেখান থেকে আন্দোলনকারীদের পক্ষেই রায় দেওয়া হয়। এরপর মামলাটি পৌঁছায় কলকাতা হাইকোর্টে। সেখান থেকেও নির্দেশ দেওয়া হয়, ৩ মাসের মধ্যে সমস্ত বকেয়া মিটিয়ে দিতে হবে। ডিভিশন বেঞ্চের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাজ্য সরকার পৌঁছায় সুপ্রিম কোর্টে। আপাতত শীর্ষ আদালতের দিকেই তাকিয়ে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের সরকারি চাকুরিজীবীরা।

Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর