‘মৃত্যুদণ্ড…’! আরজি কর কাণ্ডের আবহেই বিরাট পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের! তোলপাড় দেশ

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর ধর্ষণ খুন কাণ্ডে (RG Kar Case) দোষী সাব্যস্ত হয়েছে সঞ্জয় রায়। তাঁর ফাঁসির দাবি জানিয়েছিল তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। যদিও শিয়ালদহ আদালতের বিচারক অনির্বাণ দাস এই ঘটনাকে ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’ মানেননি। ধর্ষণ খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হওয়া সঞ্জয়কে তিনি আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং জরিমানার নির্দেশ দেন। ইতিমধ্যেই সেই রায় চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকার এবং সিবিআই। এই আবহে মৃত্যুদণ্ড নিয়ে বড় পর্যবেক্ষণ করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)।

মৃত্যুদণ্ড নিয়ে বিরাট পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)!

সম্প্রতি শীর্ষ আদালতের বিচারপতি বিক্রম নাথ, বিচারপতি সন্দীপ মেহতা এবং বিচারপতি সঞ্জয় করোলের বেঞ্চে একটি মামলা উঠেছিল। সেই মামলায় নিজের স্ত্রী ও চার কন্যাকে হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন এক ব্যক্তি। তাঁকে মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি দেওয়া হয়েছিল। তবে শীর্ষ আদালতের তরফ থেকে সেই সাজা খারিজ করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের শাস্তি দেওয়া হয়।

সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) তরফ থেকে জোর দিয়ে বলা হয়েছে, অপরাধটি নৃশংস হলেও, কারাগারের রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে অপরাধীর সংস্কারের সুযোগ রয়েছে। আদালতের কথায়, ‘কোনও মামলায় একাধিক খুনের ঘটনা ঘটলেও সেটা বিরলতম হিসেবে বিবেচিত হবে, এমনটা নয়। সেখানে যদি অন্তত সংস্কারের যুক্তিসঙ্গত সম্ভাবনা থাকে, তাহলে অপরাধীকে কম সাজা দেওয়াই বাঞ্ছনীয়’। এই আবহে মৃত্যুদণ্ড নিয়ে শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘নিয়ম নয়, মৃত্যুদণ্ড ব্যতিক্রম’।

আরও পড়ুনঃ ‘আরজি কর কি সোনাগাছি? এখনই বন্ধ করা হোক ওই হাসপাতাল’, বাংলা হান্টকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে ফুঁসে উঠলেন তিলোত্তমার মা

এদিকে এই মামলার বিষয়ে জানা যাচ্ছে, ২০১১ সালের ১১ ডিসেম্বর রাতে স্ত্রী ও চার নাবালিকা কন্যাকে খুন করেছিলেন ওই ব্যক্তি। এর আগে নিম্ন আদালত এবং এলাহাবাদ হাইকোর্টের তরফ থেকে তাঁকে ফাঁসির (Capital Punishment) সাজা দেওয়া হয়। তবে সুপ্রিম কোর্ট সেই শাস্তি খারিজ করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দিল। সর্বোচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণ, সাজা ঘোষণার ক্ষেত্রে অপরাধের প্রকৃতির বাইরে গিয়ে দোষীর পরিস্থিতিও মূল্যায়ন করতে হবে।

উল্লেখ্য, সঞ্জয়কে যাতে মৃত্যুদণ্ড না দেওয়া হয়, সেই জন্য গত ২০ জানুয়ারি শিয়ালদহ আদালতে জোরালো সওয়াল করেছিলেন তাঁর আইনজীবীরা। সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) পর্যবেক্ষণও উল্লেখ করেছিলেন তাঁরা। পরবর্তীতে বিচারক অনির্বাণ দাস কলকাতা পুলিশের এই প্রাক্তন সিভিক ভলেন্টিয়ারকে আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং জরিমানার নির্দেশ দেন। ইতিমধ্যেই সঞ্জয়ের ফাঁসি চেয়ে হাইকোর্টে গিয়েছে রাজ্য সরকার ও সিবিআই। এই আবহে মৃত্যুদণ্ড নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণকে তাৎপর্যপূর্ণ মনে করা হচ্ছে। ‘নিয়ম নয়, মৃত্যুদণ্ড ব্যতিক্রম’, জানিয়েছে শীর্ষ আদালত।