বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কেন্দ্রের নয়া জাতীয় শিক্ষানীতি (National Education Policy) নিয়ে বহু রাজ্যের আপত্তি ছিল। পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু সহ বেশ কিছু রাজ্য এই শিক্ষানীতি বাস্তবায়িত করতে চায়নি। জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) অবধি। এবার সেই মামলাতেই বড় নির্দেশ দিয়ে দিল শীর্ষ আদালত। বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা (Justice JB Pardiwala) ও বিচারপতি আর মহাদেবনের বেঞ্চের তরফ থেকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) যা হল…
কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তবে পশ্চিমবঙ্গ সহ এদেশের বেশ কিছু রাজ্য স্পষ্ট জানায়, তারা এই নীতি মানবে না। তাঁদের রাজ্যে বর্তমানে যে শিক্ষানীতিতে পড়াশোনা চলছে, সেটাই চলবে।
এরপরেই এই ইস্যু গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট অবধি। কেন্দ্রের নির্দেশ না মানা রাজ্যগুলির বিরুদ্ধে দায়ের করা হয় জনস্বার্থ মামলা। এবার এই বিষয়ক জনস্বার্থ মামলা খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত। শুক্রবার এক মামলায় বিচারপতি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মহাদেবনের (Justice R Mahadevan) বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, নয়া জাতীয় শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের জন্য কোনও রাজ্যকে বাধ্য করা যাবে না। কেন্দ্র কোনও রাজ্যের ওপর নয়া শিক্ষানীতি চাপিয়ে দিতে পারে না, স্পষ্ট জানিয়েছে আদালত।
আরও পড়ুনঃ ‘যুদ্ধকে রোম্যান্টিসাইজ করা বন্ধ হোক, এর পরিণতি কখনও ভালো হতে পারে না’: শ্রীলেখা মিত্র
জানা যাচ্ছে, মামলাকারী দাবি করেছিল, কেন্দ্রীয় সরকারের (Central Government) নির্দেশ মতো জাতীয় শিক্ষানীতি বাস্তবায়িত করলে আদতে শিক্ষার্থীদের লাভ হবে। এর বিরোধিতা করে পড়ুয়াদের ক্ষতি করছে, তাঁদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করছে রাজ্যগুলি।
মামলাকারীর যুক্তি ছিল, নয়া শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন করার ক্ষেত্রে এদেশের রাজ্যগুলি সাংবিধানিকভাবে বাধ্য। সেই কারণে শীর্ষ আদালতের কাছে আবেদন জানানো হয়, নয়া জাতীয় শিক্ষানীতি প্রয়োগ করার জন্য রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হোক। যদিও একথা মানতে চায়নি সুপ্রিম কোর্ট।
বিচারপতি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মহাদেবনের বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যগুলিকে জাতীয় শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের জন্য বাধ্য করতে পারে না। তাদের ওপর নতুন শিক্ষানীতি চাপিয়ে দেওয়া যায় না। সেই কারণে শীর্ষ আদালত (Supreme Court) এই বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ নেবে না। তবে রাজ্যের পদক্ষেপের ফলে যদি নাগরিকদের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হয়, তাহলে তার পরিপ্রেক্ষিতে পদক্ষেপ নিতে পারে আদালত।