বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আর জি কর (RG Kar Case) হাসপাতালে কর্মরত তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ খুনের ঘটনায় লাগাতার কর্মবিরতিতে জুনিয়র ডাক্তাররা। সোমবার পাঁচ দফা দাবি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ম্যারাথন বৈঠক হলেও, এখনও কাজে ফেরেননি তারা। মঙ্গলবার আর কর মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টে সেই প্রসঙ্ উঠলে উঠে আসে ডাক্তার-স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তার বিষয়টিও।
সিভিক ভলেন্টিয়ারদের (Civic Volunteers) নিয়ে কি জানাল সুপ্রিম কোর্ট?
আদালতে জুনিয়র ডাক্তারদের আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিংহ হাসপাতালে চুক্তিভিত্তিক নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন কেন সেই বিষয়ে সওয়াল করেন। পাশাপাশি আর জি কর ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের কথাও কোর্টে তোলেন তিনি। চুক্তিভিত্তিক নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন থাকলে নিরাপত্তা কি বজায় থাকবে? কিকরে ডাক্তার সকল স্বাস্থ্যকর্মীরা সুরক্ষিত মনে করবেন নিজেদের, সেই নিয়ে সওয়াল করেন ইন্ডিয়া।
চুক্তিভিত্তিক কর্মীর পরিবর্তে হাসপাতালে প্রশিক্ষিত পুলিশকর্মী নিয়োগের দাবি জানান জুনিয়র ডাক্তারদের আইনজীবী। প্রশ্ন ওঠে সাত দিনের ট্রেনিং দিয়ে কী ভাবে সিভিক ভলান্টিয়ারদের (Civic Volunteers) নিয়োগ করা হয়? ওই স্বল্প সময়ের প্রশিক্ষণে উপযুক্ত নিরাপত্তার আশা করেন? সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়ে রাজ্য সরকার। প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, “ওই চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের কী ভাবে গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োগ করতে পারে রাজ্য? রাজ্যের এই বিষয়ে ভাবা উচিত।”
প্রসঙ্গত, গত শুনানিতেই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল, ডাক্তারদের নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিতে হবে। এদিন প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, ‘আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী হাসপাতালে সুরক্ষা নিশ্চিত করতে রাজ্য কী পদক্ষেপ করেছে?” রাজ্য তরফে জানানো হয়, পদক্ষেপ করা হচ্ছে।
চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের নিয়োগের প্রসঙ্গ উঠলে প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন, এভাবে চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের নিয়োগ করলে, ডাক্তার, বিশেষত মহিলা ডাক্তাররা কীভাবে নিজেদের সুরক্ষিত মনে করবেন? বিচারপতি বলেন, “এই অপরাধ চুক্তিভিত্তিক কর্মী দ্বারা সংগঠিত হয়েছে। পুলিশ বারাক থাকা সত্ত্বেও হাসপাতালে ঢুকে পড়ে অভিযুক্ত। এই অবস্থায় ফের চুক্তিভিত্তিক কর্মী ৭ দিনের প্রশিক্ষণ দিয়ে নিয়োগ করা হচ্ছে?’
আরও পড়ুন: লুচি-আলুরদম থেকে পোলাও-মাংস, নিজে হাতে রেঁধে প্রসেনজিৎকে পাত পেড়ে খাওয়াবেন ঋতুপর্ণা
প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, ‘চুক্তিভিত্তিক কর্মীরা গোটা হাসপাতালে কাজ করবে। চিকিৎসক, বিশেষত মহিলা চিকিৎসকরা কীভাবে নিজেদের সুরক্ষিত মনে করবেন? কর্মশক্তির একটা বড় অংশই তরুণী। তাই তাদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি। এদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে রাজ্যকে। জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারকে মহিলা সহ সমস্ত ডাক্তারদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে।” ডাক্তারদের সংশয় ন্যায়সঙ্গত, নিরাপত্তার প্রশ্ন আসাই স্বাভাবিক এই মন্তব্যও করেন প্রধান বিচারপতি।