বাংলাহান্ট ডেস্ক : নিয়োগকারী সংস্থার থেকে গাড়ি বা বাড়ি কেনার জন্য ঋণ নিলে তার সুদ সাধারণ বাজার দরের সুদের হারের থেকে কিছুটা কম হয়। সোজা কথায় বলতে গেলে যদি ঋণ নেওয়ার সময় গৃহঋণের সুদের হার বাজারে ৯ শতাংশ হয়ে থাকে, তাহলে একজন ব্যাংক কর্মচারী তার ব্যাংক থেকে আরও অনেক কম সুদের হারে ঋণ পাবেন।
তবে এই সুদের হারের মধ্যে যে পার্থক্য থাকে তার উপর আয়কর প্রদান করতে হয় ওই ঋণগ্রহীতাকে।সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) ঋণের সুদের হারের ছাড়ের উপর আয়কর দেওয়ার ব্যাপারটিকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করা হয়। যে মামলাটি করা হয়েছিল তার আবেদনে অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক অফিসারস কনফেডারেশন বলে, সুদের হারের ছাড়ের উপর যে আয়কর দেওয়ার নিয়ম আছে তা বাতিল করা হোক।
আরোও পড়ুন : এই ভাষাটিতেই সবথেকে বেশি মানুষ কথা বলে বিশ্বজুড়ে! উত্তর শুনলে চোখ কপালে উঠবে
তবে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ বিপক্ষে গেল মামলাকারীদের। এর ফলে হতাশ হতে হল ব্যাংক কর্মচারীদের। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিল, সুদের হারের ছাড়ের উপর যে আয়কর দেওয়ার নিয়ম চালু রয়েছে তা বাতিল করা হবে না। এই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিল, ঋণের সুদের হারের ছাড়ের ক্ষেত্রে ব্যাংক কর্মচারীদের যেমন আয়কর (Income Tax) দিতে হয, তেমনটাই দিতে হবে।
আরোও পড়ুন : প্রবীণ নাগরিকদের জন্য বিশেষ কার্ড করে দিচ্ছে সরকার! সুবিধা কী মিলবে? জানুন বিস্তারিত
এসবিআই-তে ঋণে সুদের হারের সাথে নিয়োগ কর্তার থেকে নেওয়া সুদের হারের যে পার্থক্য থাকে, কর্মীদের আয়কর দিতে হয় তার ওপর। মামলাকারী অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক অফিসারস কনফেডারেশন সুদের হারের ছাড়ের ব্যবধান হিসাব করার উদ্দেশ্যে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াকে গণ্য করার বিষয়টিকেও চ্যালেঞ্জ করে।
তবে সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে এই নিয়ম সম্পূর্ণ বৈধ। অর্থ মন্ত্রকের তরফ থেকে ২০০৭ সালে এই নিয়ম চালু হওয়ার পর মাদ্রাসা হাইকোর্টের মামলা দায়ের হয় ২০০৮ সালে। তবে মামলাকারীদের পক্ষে রায়দান করেনি উচ্চ আদালত। এরপর সেই মামলা পৌঁছায় সুপ্রিম কোর্টে। সুপ্রিম কোর্টেও অবশেষে ধাক্কা খেলেন কর্মচারীরা।