বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মুর্শিদাবাদ ইস্যু (Murshidabad Violence) নিয়ে সরগরম রাজ্য। হিংসার জেরে ‘নবাবের শহর’ কার্যত বিপর্যস্ত। বিগত কয়েকদিনে নতুন করে কোনও অশান্তির খবর সামনে আসেনি, আস্তে আস্তে সেখানকার পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে বলে খবর। এই আবহে মুর্শিদাবাদে রাষ্ট্রপতি শাসনের আর্জিতে বড় মন্তব্য করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। এদেশের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি বি আর গাভাইয়ের (Justice BR Gavai) বেঞ্চ এই মন্তব্য করেছে।
মুর্শিদাবাদে রাষ্ট্রপতি শাসনের আর্জিতে কী বলল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)?
দেখতে দেখতে প্রায় দেড় সপ্তাহ হয়ে গেল শিরোনামে রয়েছে মুর্শিদাবাদ। হিংসার ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন একাধিক, প্রাণ বাঁচাতে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন বহু মানুষ। পরিস্থিতি সামাল দিতে আগেই সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এবার রাষ্ট্রপতি শাসনের আবেদনে বড় মন্তব্য করল শীর্ষ আদালত।
জানা যাচ্ছে, ওয়াকফ বিল বিরোধী প্রতিবাদ ঘিরে মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) হিংসার জেরে সেখানে রাষ্ট্রপতি শাসন চেয়েছিলেন আইনজীবী বিষ্ণু শংকর জৈন। তার প্রেক্ষিতে বিচারপতি গাভাইয়ের বেঞ্চ বলেন, ‘আপনারা চাইছেন রাষ্ট্রপতিকে যেন এই নিয়ে আমরা নির্দেশ দিই। তবে এটা করলে তো অভিযোগ উঠবে, আইন প্রণয়ন সংক্রান্ত বিষয়ে বিচারব্যবস্থা হস্তক্ষেপ করছে’।
আরও পড়ুনঃ নতুন রাজ্য সভাপতি নিয়ে ধোঁয়াশা! এরই মধ্যে ৬ জেলার সভাপতিদের নাম ঘোষণা করল BJP
উল্লেখ্য, চলতি মাসেই আইনসভায় পাশ হওয়া বিল নিয়ে নজিরবিহীন মন্তব্য করে এদেশের শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, যে সকল বিল আইনসভা থেকে পাশ হয়ে আসছে, সেগুলি রাষ্ট্রপতি অনন্তকাল ধরে আটকে রাখতে পারেন না। তাঁকে তিন মাসের মধ্যে এই বিল নিয়ে মতামত জানাতে হবে। রাজ্যপালদের ক্ষেত্রেও একই নির্দেশ দেওয়া হয়।
এরপরেই এই নিয়ে সরব হন উপরাষ্ট্রপতি সহ বিজেপির (BJP) একাধিক নেতা। উপরাষ্ট্রপতি দাবি করেন, সংবিধানের ১৪২ ধারাকে পরমাণু মিসাইলের মতো করে ব্যবহার করা হচ্ছে। বিচারব্যবস্থা সম্বন্ধে এহেন মন্তব্য করেন তিনি। সাংসদ নিশিকান্ত দুবে আবার ওয়াকফ আইন প্রসঙ্গে বলেন, ‘আইন তৈরি করা যদি সুপ্রিম কোর্টের কাজ হয়, তাহলে সংসদ বন্ধ করে দিন’।
এহেন পরিস্থিতিতে এবার মুর্শিদাবাদে রাষ্ট্রপতি শাসনের আবেদনের প্রেক্ষিতে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করল সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) বিচারপতি গাভাইয়ের বেঞ্চ। রাষ্ট্রপতিকে এই বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হলে আইন প্রণয়ন সম্বন্ধিত বিষয়ে বিচারব্যবস্থার হস্তক্ষেপের অভিযোগ উঠবে বলে দাবি করেন তিনি।