‘জামিনই দস্তুর…’! এবার কপাল খুলবে পার্থ-বালুর? সুপ্রিম কোর্টের এক পর্যবেক্ষণে তোলপাড়

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একজন নিয়োগ দুর্নীতি, আরেকজন রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন। রাজ্যের প্রাক্তন দুই মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং জ্যোতপ্রিয় মল্লিকের বর্তমান ঠিকানা হল জেল। দীর্ঘদিন ধরেই এখানেই দিন কাটছে তাঁদের। তবে এবার পার্থ, বালুর কপাল খুলতে পারে! সম্প্রতি একটি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) পর্যবেক্ষণ থেকে তেমনটাই অনুমান করা হচ্ছে।

  • কী বলল শীর্ষ আদালত (Supreme Court)?

বুধবার আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইনের এক মামলায় প্রেম প্রকাশ নামের এক ব্যক্তির জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছে সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথন এবং বিচারপতি বি আর গাভাইয়ের বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, ‘জামিনটাই দস্তুর, জেল হওয়াটা ব্যতিক্রম’। আইনের এই সাধারণ নীতি PMLA তথা আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

   
  • এবার কপাল খুলবে পার্থ-বালুর?

এদিকে পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) এবং প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক দু’জনেই ইডির হারে আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন। ২০২২ সালের জুলাই মাসে গ্রেফতার হন পার্থ। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নাম জড়িয়েছে তাঁর। অন্যদিকে রেশন দুর্নীতির অভিযোগে গত বছর অক্টোবর মাসে গ্রেফতার হয়েছেন জ্যোতিপ্রিয় ওরফে বালু।

আরও পড়ুনঃ টানা ৩ দিন বন্ধ থাকবে স্কুল! কোন কোন দিন ছুটি পাবেন পড়ুয়ারা? জানুন নয়া আপডেট

আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইনে ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে জেলের চার দেওয়ালের মধ্যে জীবন কাটছে রাজ্যের একদা দুই হেভিওয়েট মন্ত্রীর। জামিনের আবেদন জানিয়েও সুরাহা হয়নি। আপাতত জেলই ঠিকানা পার্থ, জ্যোতিপ্রিয়র (Jyotipriya Mallick)। এর মাঝেই প্রেম প্রকাশের জামিন মঞ্জুর করে আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ মামলায় জামিন প্রসঙ্গে বড় পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের।

বুধবার শীর্ষ আদালত (Supreme Court) মন্তব্য করেছে, ‘মণীশ সিসোদিয়া মামলায় যে রায় দেওয়া হয়েছে, সেটার ভিত্তিতে আমরা বলেছি যে আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইনের ক্ষেত্রেই জামিনই দস্তুর, জেল হওয়া ব্যতিক্রম। ৪৫ নং ধারায় জামিনের শর্তের কথা উল্লিখিত রয়েছে। ব্যক্তির স্বাধীনতাই দস্তুর। সেখান থেকে চ্যুতির বিষয় ব্যতিক্রম। যা আইন দ্বারা সিদ্ধ নয়’।

Supreme Court

প্রেম প্রকাশের মামলায় সুপ্রিম কোর্টের মন্তব্য, বিচার দেরি হচ্ছে। এছাড়া প্রত্যক্ষদর্শীদের একটা বড় লিস্ট রয়েছে, যাদের ‘পরীক্ষা’ করা হবে। একইসঙ্গে বিচারপতি বিশ্বনাথন এবং বিচারপতি গাভাইয়ের মন্তব্য, প্রাথমিকভাবে প্রেমকে অভিযুক্ত মনে হচ্ছে। তথ্যপ্রমাণ নষ্টের সম্ভাবনা নেই। তাই এমতাবস্থায় তাঁকে জামিন দেওয়া যেতে পারে বলে জানায় আদালত। এদিকে আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইনের এই মামলায় জামিন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) এই পর্যবেক্ষণের পর পার্থ, জ্যোতিপ্রিয় জামিন পাবেন কিনা তা নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা। এই পর্যবেক্ষণের ফলে তাঁদের কতখানি লাভ হবে বা আদৌ হবে কিনা সেটা সময়ই বলবে।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর