বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আর জি কর (RG Kar) মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনের মামলা গেল সুপ্রিম কোর্টে। এদিন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পর্দিওয়ালা এবং মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে এই মামলায় হস্তক্ষেপ করছে সুপ্রিম কোর্ট (RG Kar Doctor Death Case)। সেখানেই পুলিশের ভূমিকা সহ একাধিক বিষয় নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)।
‘অধ্যক্ষ প্রথমেই কেন বললেন আত্মহত্যা?’, আর জি কর কাণ্ডে সুপ্রিম কোর্ট (RG Kar)
এটা ভয় জাগানোর মতো ঘটনা, এদিন শুনানির শুরুতেই মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের। কেন আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এই ঘটনাকে আত্মহত্যার কথা বললেন। জোর প্রশ্ন তুলল সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি গোটা ঘটনায় রাজ্য পুলিশের চূড়ান্ত সমালোচনায় সরব দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
চিকিৎসক মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে ১৪ অগাস্ট মহিলাদের ‘রাত দখল’-এর আন্দোলনের দিন হাসপাতালে কী করে বহিরাগতরা ঢুকে হামলা চালাল? প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির। ইতিমধ্যেই হাইকোর্টের নির্দেশে এই মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। এবার কেন্দ্রীয় এজেন্সি এই মামলায় স্টেটাস রিপোর্ট দেবে সুপ্রিম কোর্টকে। নির্দেশ প্রধান বিচারপতির। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী বৃহস্পতিবার।
পাশাপাশি চিকিৎসক হত্যার ঘটনার পর এবার চিকিৎসকদের সুরক্ষার জন্য ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্স গঠন করার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রসঙ্গত গত শুক্রবার রাতে আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় (Doctor Rape and Murder Case) ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে সকলের একটাই দাবি ‘বিচার চাই’। এবার হাইকোর্টের থেকে চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনের মামলা গেল সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)।
এর আগে নির্যাতিতা মৃতা চিকিৎসকের বাবা-মা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন। যা নিয়ে মামলা চলছিল কলকাতা হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে। এরই মাঝে দু’দিন আগে আর জি কর কাণ্ড নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)।
কলকাতার আর জি কর হাসপাতালে ৩১ বছর বয়সি ডাক্তারি পড়ুয়ার মৃত্যু ঘিরে উত্তাল দেশ। গত ৮ আগস্ট, মারা যাওয়ার দিন নাইট শিফটে ছিলেন তরুণী চিকিৎসক। হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে তাঁর দেহ যখন উদ্ধার করা হয়েছিল, তখন পরনের পোশাক অবিন্যস্ত অবস্থায় ছিল। সেমিনার হলে ছিল না কোনো সিসিটিভি ক্যামেরা। তরুণী চিকিৎসকের দুই চোখ, মুখ দিয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছিল। যৌনাঙ্গে ও গলায় ছিল ক্ষত। আঘাতের চিহ্ন ছিল মুখে, পায়ে, নখে, পেটে, হাতে, ঠোঁটে।
আরও পড়ুন: হাইকোর্ট থেকে আর জি করে চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনের মামলা গেল সুপ্রিম কোর্টে, বড় আপডেট
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছিল তরুণী চিকিৎসককে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় এক সিভিক ভলেন্টিয়ারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকি আরও কেউ এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিল কিনা সেই বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আর জি করে ডাক্তারের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যেই এক সিভিক ভলেন্টিয়ারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওদিকে দফায় দফায় মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সুন্দীপ ঘোষকে জেরা করছে সিবিআই।