বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কলকাতার আরজিকরের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-হত্যা কান্ডের বীভৎসতায় কেঁপে উঠেছিল গোটা দেশ। দিন-রাত এক করে ডিউটি করে যে কর্মস্থল তিলোত্তমার দ্বিতীয় বাড়ি হয়ে উঠেছিল সেখানেই তাঁর সাথে ঘটে যায় মর্মান্তিক ঘটনা। নিরাপত্তাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই তার সাথে চলে পাশবিক অত্যাচার। প্রশ্ন ওঠে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়েও।
কর্মস্থলে যৌন হেনস্থা রুখতে আরও কড়া সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)
তারপর থেকেই একে একে সামনে আসতে শুরু করেছিল কর্মস্থলের নারী নির্যাতনের একাধিক ঘটনা। এবার কর্মস্থলে মহিলাদের ওপর যৌন হেনস্থা রুখতেই বড় সিদ্ধান্ত নিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। এই সংক্রান্ত আইন সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট অব উম্যান অ্যাট ওয়ার্কপ্লেস (প্রিভেনশন, প্রহিবিশন অ্যান্ড রিড্রেসাল) ২০১৩ বা পস-কে দেশব্যাপী চালু করার উপর জোর দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)।
এ ব্যাপারে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও জানিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত (Supreme Court)।এদিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিভি নাগরত্ন ও বিচারপতি এন কোটেশ্বরের বেঞ্চ বলেছে, মহিলাদের উপর যৌন হেনস্থা আটকাতে সব সরকারি দফতর ও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থায় অভ্যন্তরীণ অভিযোগ কমিটি গঠন করতে হবে।
তৈরি করতে হবে ‘শি বক্স’ পোর্টাল। যেখানে মহিলারা তাদের সমস্ত অভিযোগ জানাতে পারবেন। তার জন্য বেঁধে দেওয়া হয়েছে সময়। জানা যাচ্ছে গোটা বিষয়টি আগামী বছরের ৩১ মার্চের মধ্যে সম্পন্ন করার কথা বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি রাজ্যের মুখ্য সচিবদের বিষয়টি তদারকি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নারীসুরক্ষার জন্য এই ‘পস’ আইনের পাঁচ নম্বর অনুচ্ছেদকে তুলে ধরে আরও জানানো হয়েছে,জেলা স্তরের সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য একজন আধিকারিককে নিয়োগ করতে হবে। গঠন করতে হবে স্থানীয় অভিযোগ কমিটিও। এ বিষয়ে কেন্দ্রের আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছেন বেসরকারি সংস্থায় এই ধরনের অভিযোগ এলেও সরকার ঠিকভাবে এগোতে পারে না। তবে এবিষয়ে আদালত জানিয়েছে দেশ জুড়ে যৌন হেনস্তার রুখতে যে সমস্ত কমিটি গঠন করা হবে সেখানে বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিদের রাখার বিষয়েও জোর দিতে হবে।