বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এক বার হাইকোর্টের রায়ে চাকরিহারা ২৫৭৫৩, তারপর ফের সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) রায়ে ফিরে এল চাকরি। তবে শুধুমাত্র সাময়িক স্বস্তিই মিলেছে। SSC নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Recruitment Scam) মামলায় সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশের পর স্বস্তি ফিরেছে বড় অংশের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের। আপাতত আগের মতই স্কুলে যেতে পারছেন তারা। ওদিকে ভোটের মাঝেই এসএসসি মামলায় রায়ের জেরে স্বস্তি ফিরেছে শাসকদলের। তবে স্কুল সার্ভিস কমিশনের (School Service Commission) স্বস্তি কী ফিরেছে?
আগামী ১৬ জুলাই এসএসসি মামলার পরবর্তী শুনানি। সেই দিনই চূড়ান্ত নির্দেশ দেবে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের নির্দেশনামায় উল্লেখ করা হয়েছে, প্রায় ২৬০০০ জনের মধ্যে থেকে অবৈধ নিয়োগের ৪৫৯৯ জনের তালিকা আদালতে তুলে দিয়েছে কমিশন। SSC-র তথ্য অনুসারে এদের চাকরি যদি সত্যিই বেআইনি বলে প্রমাণিত হয়, তাহলে কী ঘটে চলেছে ভবিষ্যতে?
আপাতত যোগ্য-অযোগ্য সকলের চাকরি বহাল রাখলেও সুপ্রিম কোর্ট তার নির্দেশে সাফ জানিয়েছে, বেআইনিভাবে কেউ নিযুক্ত হয়েছেন, এমন প্রমাণ হলে শুনানি থেকে রায়দান পর্যন্ত যে বেতন তারা পাবেন সেই বেতনও তাদের ফেরত দিতে হবে। এই নিয়ে মুচলেকা দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
সুপ্রিম কোর্টের অর্ডার কপির ১২ ও ১৩ নম্বর পাতায় উল্লেখ করা হয়েছে যে এসএসসি অবৈধ নিয়োগের তালিকা জমা দিয়েছে। এই তালিকায় কোনও রকম দুর্নীতি প্রমাণ হলে তাদের চাকরি যে যাবে তা প্রায় নিশ্চিত। তবে ৪৫৯৯ জনের চাকরিতে বেনিয়ম প্রমাণিত হলে গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়ার ওপর প্রভাব নাও পড়তে পারে এমনটাই মত আইনজীবী মহিলের।
আরও পড়ুন: ঘন ঘন পড়বে বাজ! আগামী দু’ঘণ্টায় ঝড়-বৃষ্টির তাণ্ডব কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের ৬ জেলায়
গত শুনানিতে নিয়োগে বেনিয়ম, দুর্নীতির কথা স্পষ্ট ভাবে স্বীকার করে নিয়েছে কমিশন। এই অবস্থায় ‘দুর্নীতিগ্রস্থ’ ৪৫৯৯ জনের চাকরি চলে গেলে তার প্রভাব কার ওপর গিয়ে পড়বে? যদি সত্যিই টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রি হয়ে থাকে তাহলে সেই টাকা কাদের হাতে গিয়েছে? নিয়োগ দুর্নীতির জেরে আগেই গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ তৃণমূলের বহু নেতা। তাহলে কী চাকরি বাতিলের সূত্র ধরে এবার সামনে আসবে বড় কোনো নাম? প্রশ্ন উঠছে।