বাংলা হান্ট ডেস্ক : রাস্তাঘাটে বেরোলেই এখন গিজগিজ করে দু-চাকা চার চাকা থেকে শুরু করে একগাদা পণ্যবাহী গাড়ি। লাইসেন্স ছাড়াই গাড়ি চালানোরও অভিযোগ ওঠে অনেকের বিরুদ্ধে। লাইসেন্স না থাকার অভিযোগে পাকড়াও করা হয় একাধিক গাড়ি। আর এবার ভারতের রাস্তায় গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে লাইসেন্স নিয়েই বড় ঘোষণা করল শীর্ষ আদালত (Supreme Court)।
গাড়ির লাইসেন্স নিয়ে সুপ্রিম রায় শীর্ষ আদালতের (Supreme Court)
আদালতের (Supreme Court) নির্দেশ অনুসারে এবার থেকে পণ্যবাহি গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে চালকের ভারী জনের লাইসেন্স থাকা আবশ্যিক নয়। তাই এবার থেকে ছোট চাকার গাড়ির লাইসেন্স থাকলেও বিনা বাধায় পণ্যবাহী গাড়ি চালানো যাবে। বুধবার এমনটাই জানিয়েছে শীর্ষ আদালতের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীনপাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ।
যদিও এক্ষেত্রে বেঁধে দেওয়া হয়েছে বেশ কিছু শর্ত। জানা যাচ্ছে এবার থেকে ভারতের রাস্তায় পণ্যবাহী গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে ওই সমস্ত গাড়ির ওজন যদি ৭ হাজার কেজির কম হয় তাহলে সেই গাড়িকে ছোট গাড়ি হিসেবেই বিবেচনা করা হবে। আমাদের দেশে গাড়ির ধরন অনুযায়ী চালকদের বিভিন্ন ধরনের লাইসেন্স রাখতে হয়।
আরও পড়ুন : ছাড় পেল না প্রভাবশালীরাও! ভোটের আগে রাজ্যে একধাক্কায় বহিস্কার ৪০ ‘বিদ্রোহী’ নেতা
তা সে গিয়ারবিহীন চক্রযান অর্থাৎ স্কুটার হোক কিংবা বাইক অথবা চার চাকার ছোট গাড়ি কিংবা ভারী পণ্য বাহি গাড়ি। সব ক্ষেত্রেই লাইসেন্সের ধরণ আলাদা হয়ে থাকে। এদিন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় ছাড়াও বিচারপতি হৃষীকেশ রায়, বিচারপতি পিএস নরসিংহ, বিচারপতি পঙ্কজ মিত্তল এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রর পাঁচ ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি চলছিল। এই মামলার রায় দিয়ে বিচারপতি হৃষীকেশ রায় জানিয়েছেন, যারা দিনের বেশিরভাগ সময়ের গাড়িতে কাটান, ‘তাঁরা আদালতের থেকে উত্তর চাইছেন। শুধুমাত্র প্রযুক্তিগত কারণে তাঁদের অভিযোগগুলিকে দূরে সরিয়ে রাখা যায় না।’
প্রসঙ্গত ছোট চার চাকার গাড়ি চালানোর লাইসেন্সে পণ্যবাহী গাড়ি চালানোর কারণে মালিকরাই গা়ড়ি বিমার টাকা পেতে সমস্যায় পড়ছিলেন। এই ধরনের অভিযোগ মিলতেই প্রথমে সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতির বেঞ্চে শুরু হয়েছিল মামলা। পরে ২০২২ সালে মামলাটি শীর্ষ আদালতের সাংবিধানিক বেঞ্চে পাঠানো হয়। মোট ৭৬ জন মামলাকারীর বক্তব্য শোনার পর ২১ অগস্ট রায়দান স্থগিত রেখেছিল সুপ্রিম কোর্ট। বুধবার এই মামলারই রায় দিয়েছে পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ।