বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় বিজেপি নেতা কবীর শঙ্কর বোসের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২০ সালে এই ঘটনা ঘটেছিল। জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) অবধি। এবার তাতেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত।
কবীরের বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ! সুপ্রিম (Supreme Court) নির্দেশে তোলপাড়!
বিজেপি নেতা কবীর সম্পর্কে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Kalyan Banerjee) প্রাক্তন জামাই। তাঁর অবশ্য আরও পরিচয় রয়েছে। পেশায় আইনজীবী এবং গেরুয়া শিবিরের সক্রিয় কর্মী। ২০২৪ লোকসভা ভোটে বিজেপির টিকিটে শ্রীরামপুর থেকে দাঁড়িয়েছিলেন কবীর। প্রাক্তন শ্বশুরমশাইয়ের বিরুদ্ধেই দাঁড় করানো হয়েছিল তাঁকে। যদিও জয়ের মুখ দেখতে পারেননি।
এদিকে তৃণমূল কর্মীদের ওপর হামলার যে ঘটনার কথা হচ্ছে, সেটা বছর চারেক আগে ঘটেছিল। শ্রীরামপুরে বিজেপির হয়ে প্রচার করছিলেন কবীর (Kabir Shankar Bose)। তখন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ তাঁর বিরুদ্ধে তৃণমূল কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ আনেন। দু’টি এফআইআর দায়ের হয়। তদন্ত শুরু করে রাজ্য পুলিশ।
আরও পড়ুনঃ সবার আগে দেশ! ‘ভারতের পতাকায় যারা পা দিয়েছে…’! বাংলাদেশকে চরম হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর
এই ঘটনায় এফআইআরের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন পদ্ম নেতা কবীর। বুধবার বিচারপতি বি ভি নাগরত্ন এবং বিচারপতি পঙ্কজ মিথালের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি ছিল। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, কল্যাণের সঙ্গে কবীরের ব্যক্তিগত শত্রুতা রয়েছে। সেই সঙ্গেই তাঁরা রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী। তাই এই ঘটনায় সর্বোচ্চ আদালত রাজ্য পুলিশের ওপর আস্থা না রেখে সিবিআই (CBI) তদন্তের নির্দেশ দেয়। এই মামলার যাবতীয় তথ্য কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্য পুলিশকে।
উল্লেখ্য, ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে শ্রীরামপুরে কবীর-কল্যাণের জোর টক্কর হয়েছে। শেষ হাসি কে হাসবেন সেটা দেখার জন্য মুখিয়ে ছিলেন সকলে। ফলাফল ঘোষণার পর দেখা যায়, প্রাক্তন জামাইকে টেক্কা দিয়ে বাজিমাত করেছেন কল্যাণ। এবার ২০২০ সালে তৃণমূল কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। এখনও অবধি এই বিষয়ে তৃণমূল সাংসদের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।