বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিগত প্রায় আট বছর ধরে কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় (Sovan Chatterjee) ও রত্না চট্টোপাধ্যায়ের (Ratna Chatterjee) ডিভোর্স নিয়ে টানাপড়েন চলছে। আলিপুর আদালত, কলকাতা হাইকোর্ট হয়ে ইতিমধ্যেই সেই জল গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) অবধি। এবার শীর্ষ আদালতে খানিকটা স্বস্তি পেলেন বেহালা পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক রত্না। শোভনকে বড় নির্দেশ দিয়ে দিল বিচারপতি আসানুদ্দিন আমানুল্লা ও বিচারপতি প্রশান্তকুমার মিশ্রের বেঞ্চ।
শোভনকে কী নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)?
২০১৭ সালের ১৩ নভেম্বর আলিপুর আদালতে বিবাহবিচ্ছেদ মামলা করেছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। সেই মামলায় তিনজন তাঁর হয়ে সাক্ষ্য দেন। ২০২৩ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি সেই প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। অন্যদিকে রত্না জানান, তাঁর পক্ষে ১৮-২০ জন সাক্ষ্য দেবেন। যদিও আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেনি। এরপর তাঁর পক্ষে ৭ জন সাক্ষ্য পেশের আবেদন জানান তৃণমূল বিধায়ক। সেই আবেদনও খারিজ করে দেয় নিম্ন আদালত। শেষ অবধি মাত্র ২ জনের সাক্ষ্যদানের অনুমতি দেওয়া হয়।
এমন দু’জন, যারা এই মামলার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এনারা হলেন রত্না নিজে ও শোভন-রত্নার ছেলে। ঠিক হয়েছিল, গত ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি শোভন-রত্নার ডিভোর্স মামলায় সওয়াল জবাব করা হবে। তবে তার আগেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন রত্না। যদিও উচ্চ আদালতের তরফ থেকে নিম্ন আদালতের নির্দেশ বহাল রাখা হয় ও মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির বার্তা দেওয়া হয়। এরপর সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হন বেহালা পূর্বের বিধায়ক।
আরও পড়ুনঃ দোলেই এল সুখবর! আচমকা DA বৃদ্ধির ঘোষণা করল রাজ্য সরকার, কত শতাংশ? জারি বিজ্ঞপ্তি
আলিপুর আদালত ও কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) ধাক্কা খেলেও, শীর্ষ আদালতে খানিকটা স্বস্তি পান রত্না চট্টোপাধ্যায়। জানা যাচ্ছে, গত ৫ মার্চ বিচারপতি আমানুল্লা ও বিচারপতি মিশ্রের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়েছে। আদালত জানিয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া অবধি নিম্ন আদালতে এই মামলার কোনও শুনানি হবে না। এই নির্দেশের পর আলিপুরের অতিরিক্ত জেলা বিচারক শোভন-রত্নার ডিভোর্স মামলার শুনানি পিছিয়ে দিয়েছেন।
রত্নার ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে জানা যাচ্ছে, নিম্ন আদালতে ডিভোর্স মামলার যে শুনানি চলছে, তার ওপর স্থগিতাদেশের আবেদন জানিয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক। সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) তাঁর সেই আবেদনে সাড়া দিয়েছে। আগামী ৯ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। এই মামলায় শোভনের থেকে হলফনামা চেয়েছে শীর্ষ আদালত। কলকাতার প্রাক্তন মেয়রকে তা জমা দিতে হবে।