‘সরকার এমন করতে পারে না, ভীষণ হতাশাজনক’! হাইকোর্টের ভূমিকারও সমালোচনা সুপ্রিম কোর্টের

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্য সরকার ও হাইকোর্ট (High Court), উভয়ের ভূমিকারই সমালোচনা করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। বিচারপতি উজ্জ্বল ভুঁইয়া (Justice Ujjal Bhuyan) ও বিচারপতি মনমোহনের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি চলাকালীন জাস্টিস মনমোহন বলেন, ‘বিষয়টি ভীষণ হতাশাজনক’। জাস্টিস ভুঁইয়ার আবার মন্তব্য, ‘হাইকোর্টের নির্দেশ বস্তুত আশ্চর্যজনক’।

কোন মামলায় রাজ্য ও হাইকোর্টের সমালোচনা সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)?

জানা যাচ্ছে, বাড়ির অমতে এক যুবক ও যুবতী পালিয়ে বিয়ে করেছিল। সেখান থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত। যুবকের কিশোর ভাইয়ের অপহরণও হয়। এই নিয়ে অপহৃত কিশোরের মা অভিযোগ দায়ের করেন। তার প্রেক্ষিতে আগাম জামিনের আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিধায়ক জগন মূর্তি। সেই মামলা থেকেই মাথাচাড়া দেয় নয়া বিতর্ক।

কিশোরের অপহরণ হওয়ার এই মামলায় তামিলনাড়ুর এডিজিপি তথা অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশকে সাসপেন্ড করে সেই রাজ্যের সরকার। মাদ্রাজ হাইকোর্ট আবার এডিজিপি এইচএম জয়রামকে (HM Jayaram) গ্রেফতার করার নির্দেশ দেয়।

গত ১৬ জুন ওই পুলিশকর্তাকে গ্রেফতার করা হয়। এরপরের দিনই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। ইতিমধ্যেই তিনি মুক্তি পেয়েছেন। তবে তামিননাড়ুর এডিজিপিকে (Tamil Nadu ADGP) সাসপেন্ড করা হয়েছে। এই নিয়েই এবার হাইকোর্ট ও রাজ্যের সমালোচনা করল শীর্ষ আদালত। বিচারপতিদের প্রশ্ন, তদন্তে যোগদানকারী এইচএম জয়রামকে সাসপেন্ড করার প্রয়োজনীয়তা কী এবং কতখানি?

আরও পড়ুনঃ একুশে মমতাকে হারিয়েছিলেন, ছাব্বিশে BJP জিতলে মুখ্যমন্ত্রী শুভেন্দু! বড় ইঙ্গিত কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের

এই বিষয়ে ওই পুলিশকর্তার আইনজীবীর বক্তব্য, সম্পর্কিত একটি অপহরণ মামলায় এক বিধায়কের আগাম জামিনের আবেদনে কীভাবে এডিজিপিকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দেওয়া যায়? যদিও রাজ্যের (Government of Tamil Nadu) আইনজীবীর দাবি, এইচএম জয়রামকে আদৌ গ্রেফতার করা হয়নি।

এই বিষয়ে বিচারপতি মনমোহন বলেন, ’১৮ বছর ধরে কর্মরত একজন অফিসারের প্রতি সরকার এমনটা করতে পারে না। বিষয়টি ভীষণ হতাশাজনক। উনি যখন তদন্তে যোগ দিয়েছেন, তখন সরকারের এহেন পদক্ষেপ নেওয়ার মানে কী?’ তিনি আরও বলেন, ১৮ বছর ধরে বিচারপতি হিসেবে কাজ করছি। তবে আমার এমন ক্ষমতা (গ্রেফতারির নির্দেশ দেওয়া) আছে, জানতাম না।

বিচারপতি ভুঁইয়া আবার বলেন, ‘হাইকোর্টের নির্দেশ বস্তুত আশ্চর্যজনক। একজন সিনিয়র অফিসারের বিরুদ্ধে জারি করা সাসপেনশন অর্ডার সরকার প্রত্যাহার করতে রাজি কিনা সেটা জেনে আসুন’।

বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) ফের একবার এই মামলার শুনানি হবে। এদেশের সর্বোচ্চ আদালতে এবার কী হয় সেটাই দেখার।