বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যের দ্বিতীয় দফার লোকসভা ভোটের দিন সন্দেশখালি থেকে বিপুল পরিমাণে অস্ত্রভাণ্ডার উদ্ধার করেছিল সিবিআই। ভোটের আবহে এই তল্লাশি অভিযান নিয়ে একাধিকবার সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্বাচন কমিশনকে চিঠিও লিখেছে তৃণমূল। সেই সঙ্গেই সন্দেশখালি মামলায় সিবিআই তদন্তের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থও হয় রাজ্য সরকার (Government of West Bengal)। যদিও তাতে কোনও সুরাহা হয়নি। বরং সেই মামলার শুনানি আপাতত স্থগিত রেখেছে শীর্ষ আদালত।
সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের তরফ থেকে বলা হয়েছে, গ্রীষ্মকালীন বিরতির পর তথা জুলাই মাসে এই মামলার (Sandeshkhali Case) শুনানি হবে। এই সময়কালে তদন্ত চালিয়ে যাবে কেন্দ্রীয় এজেন্সি সিবিআই (CBI)। শীর্ষ আদালত স্পষ্ট করে দেয়, এই মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন হলেও এই বিষয়টিকে কিছুতেই হাই কোর্টের নির্দেশ কিংবা শুনানির ক্ষেত্রে অজুহাত করা যাবে না।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি ছিল। এদিন রাজ্যের হয়ে সওয়াল করছিলেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি। তিনি বলেন, রাজ্যের হাতে এই মামলায় বেশ কিছু জরুরি তথ্য এসেছে। সেগুলি আদালতের সামনে পেশ করতে চায় রাজ্য। তাই ২-৩ সপ্তাহের সময় চান তিনি। তবে বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিচারপতি সন্দীপ মেহতার ডিভিশন বেঞ্চ শুনানি মাস দুয়েক পিছিয়ে দেন।
আরও পড়ুনঃ শাহজাহানের দুর্নীতির টাকা কোন তিন মন্ত্রীর পকেটে ঢুকেছে? ED-র দাবির পরই খোলসা করলেন শুভেন্দু
এরপর রাজ্যের আইনজীবীর থেকে শীর্ষ আদালত জানতে চায়, ‘একজন অভিযুক্তের স্বার্থ রক্ষার জন্য রাজ্য সরকার কেন আবেদন করছে?’ উত্তরে রাজ্যের আইনজীবী জয়দীপ গুপ্ত বলেন, ‘রাজ্য সরকারকে নিয়ে হাই কোর্ট বেশকিছু পর্যবেক্ষণ করেছে যেগুলি ঠিক নয়। সেই কারণে সেই নির্দেশকে তলব চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে’।
একথা শুনে সুপ্রিম কোর্ট পাল্টা বলে, ‘তাহলে তো হাই কোর্টের সেই পর্যবেক্ষণ মুছে ফেলার আর্জি জানিয়ে সেখানেই যেতে পারতেন’। এই মামলায় শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, জমি দখল, নারী নির্যাতন সহ একাধিক মারাত্মক অভিযোগ রয়েছে। সেই কারণে সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন হওয়া সত্ত্বেও এই মামলার তদন্ত প্রক্রিয়া আগের মতোই চলবে।