বাংলা হান্ট ডেস্ক : ইডি (ED) ও সিবিআই (CBI)-র অপব্যবহার করছে কেন্দ্র সরকার। আর এর বিরুদ্ধে মামলা করে ১৪ বিরোধী দল। সেই মামলার শুনানি ছিল আজই। সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) পর্যবেক্ষণে জানায় বিরোধীদের এই মামলা বৈধ নয়। সরকার হোক বিরোধী, আইন সকলের জন্যই সমান। এর জেরেই গত ২৪শে মার্চ দায়ের করা মামলা বাতিল হয়ে গেল।
কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি বিরোধী দলগুলির হয়ে এই মামলা করেন সুপ্রিম কোর্টে। কংগ্রেস ছাড়াও মামলাকারী দলগুলির মধ্যে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস, ডিএমকে, রাষ্ট্রীয় জনতা দল বা আরজেডি, ভারত রাষ্ট্র সমিতি বা বিআরএস-এর মতো দল।
সিবিআই এবং ইডিকে রাজনৈতিক কারণে ‘ব্যবহার’ করা হচ্ছে। এই অভিযোগ এনে এবার সুপ্রিম কোর্টে মামলা করল দেশের ১৪টি বিরোধী দল। কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি বিরোধী দলগুলির হয়ে এই মামলা করেন সুপ্রিম কোর্টে। কংগ্রেস ছাড়াও মামলাকারী দলগুলির মধ্যে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস, ডিএমকে, রাষ্ট্রীয় জনতা দল বা আরজেডি, ভারত রাষ্ট্র সমিতি বা বিআরএস-এর মতো দল।
অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়কে জানিয়েছেন, বর্তমানে সিবিআই এবং ইডির তদন্তাধীন ৯৫ শতাংশ মামলা বিরোধী দলের নেতাদের বিরুদ্ধে। এই আবহে তিনি সিবিআই ও ইডির মতো কেন্দ্রীয় তদন্তাকারী দলগুলির অপব্যবহার রুখতে গ্রেফতারির আগে এবং পরে নির্দেশিকা খতিয়ে দেখার অনুরোধ জানান। রধান বিচারপতি ৫ এপ্রিল এই মামলাটি নথিভুক্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন। সেদিনই এই মামলার প্রথম শুনানি হওয়ার কথা।
এর আগে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির অতি-সক্রিয়তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখেছিল বিরোধী দল শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রী এবং বেশ কিছু বিরোধী দলের নেতারা। সেই চিঠিতে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিআরএস প্রধান কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের মতো নেতার স্বাক্ষর ছিল। সেই চিঠিতে অভিযোগ করা হয়েছিল, অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা, পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, তৃণমূল বিধায়ক মুকুল রায় এবং মহারাষ্ট্রের বিজেপি নেতা নারায়ণ রানের বিরুদ্ধে সিবিআই-ইডি তদন্ত এত দ্রুত গতিতে হচ্ছে না।