বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) তদন্তে নেমে পশ্চিমবঙ্গের একদা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘বান্ধবী’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের আবাসন থেকে উদ্ধার হয়েছিল টাকার পাহাড়। যা ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল রাজ্যে। তবে এবার খোদ হাইকোর্টের (High Court) বিচারপতির বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ নগদ! ইতিমধ্যেই সেই পোড়া টাকার ছবি প্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)।
বাড়ি থেকে উদ্ধার টাকার পাহাড়! মুখ খুললেন বিচারপতি (High Court)
গত সপ্তাহে দোল উৎসবের ছুটি চলাকালীন দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি যশবন্ত বর্মার বাড়িতে আগুন লাগে। তখন তিনি বাড়িতে ছিলেন না। বিচারপতির বাড়ির লোকেদের দেওয়া খবর অনুযায়ী ঘটনাস্থলে হাজির হয় দমকল বাহিনী। আগুন নেভানোর সময়ই জাস্টিস বর্মার বাড়িতে বিপুল পরিমাণ নগদের খোঁজ পাওয়া যায়।
এরপর পুলিশের কাছে খবর পাঠানো হয়। জানা যাচ্ছে, এই ‘টাকার পাহাড়’ সম্বন্ধে হাইকোর্টের (High Court) বিচারপতির বাড়ির কেউ সদুত্তর দিতে পারেননি। এরপরেই জাস্টিস বর্মার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। ইতিমধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত করে শীর্ষ আদালতে রিপোর্ট জমা করেছেন দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি কে উপাধ্যায়। সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে সেই রিপোর্ট।
আরও পড়ুনঃ ‘আসল মাল তো আমরা, কে কী চেয়ারে বসবে, আমরাই ঠিক করে দেব’, সব ‘ফাঁস’ করে দিলেন ত্বহা সিদ্দিকী
জানা যাচ্ছে, শনিবার সুপ্রিম কোর্টে ২৫ পাতার রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। সেখানে অন্যান্য নানান তথ্যের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি ছবি ও ভিডিও রয়েছে। দিল্লি হাইকোর্টের (Delhi High Court) প্রধান বিচারপতি ও দিল্লি পুলিশের কমিশনার সঞ্জয় অরোরা ওই ছবিগুলি সংগ্রহ করেছেন বলে খবর। এরপর সেই রিপোর্ট শীর্ষ আদালতে জমা করা হয়।
এদিকে রিপোর্ট হাতে আসার পর বৈঠকে বসে সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম। এদেশের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না সহ কলেজিয়ামের বাকি সদস্যরা ওই রিপোর্ট শীর্ষ আদালতের ওয়েবসাইটে আপলোড করার সিদ্ধান্ত নেন। কলেজিয়াম সূত্রে খবর, বিচারব্যবস্থার স্বচ্ছতা বজায় রাখতে ওই রিপোর্ট প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেখানেই দেখা দিয়েছে, বিচারপতি যশবন্ত বর্মার (Jusitice Yashwant Varma) বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া পোড়া নোটের ছবি।
জানা যাচ্ছে, হাইকোর্টের (High Court) এই বিচারপতির বাড়ির গুদামে বিপুল পরিমাণে নগদ ছিল। দোলের ছুটির আবহে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার সময় সেগুলি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। যদিও বিষয়টি অস্বীকার করেছেন জাস্টিস বর্মা। তিনি বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে এমন কিছু মোটেও দেখতে পাইনি। ওই ঘরে প্রচুর জিনিস থাকতো, বেশ কিছু নথিপত্রও ছিল। ওই ঘর আমার বাড়ি থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। অনেকেই ওখানে যাতায়াত করতো’।
হাইকোর্টের ওই বিচারপতি যাবতীয় বিষয় অস্বীকার করলেও কড়া নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। যতদিন অবধি এই বিষয়টির নিষ্পত্তি হচ্ছে না, ততদিন অবধি জাস্টিস বর্মাকে বিচারপ্রক্রিয়া থেকে দূরে থাকার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।