বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সপ্তাহখানেকের অপেক্ষা! মঙ্গলবার ফের সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানি। ইতিমধ্যেই প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি মনোজ মিশ্র এবং বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালার বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়েছে। তদন্তের ‘স্টেটাস রিপোর্ট’ পেশ করেছে সিবিআই। তা দেখে প্রধান বিচারপতির (Supreme Court) পর্যবেক্ষণ, ‘তদন্ত খুবই গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রয়েছে’। একইসঙ্গে বলেন, এই অবস্থায় যদি রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসে, তাহলে তদন্তপ্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
লাইভ স্ট্রিমিংয়ের বিরোধিতার সওয়াল রাজ্যের আইনজীবীর (Supreme Court)
এদিন শুনানির শুরুতেই রাজ্যের আইনজীবী লাইভ স্ট্রিমিং বন্ধের আর্জি জানান। কারণ ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘এই মামলার সঙ্গে যুক্ত মহিলা আইনজীবীদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমাদের রেপুটেশন আছে। বলা হচ্ছে, আমরা নাকি আদালতে হাসাহাসি করছি। অ্যাসিড ছোড়া, ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হচ্ছে’। রাজ্যের এই আবেদন অবশ্য খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। স্পষ্ট জানানো হয়, এটা জনস্বার্থ মামলা (RG Kar Case), সরাসরি সম্প্রচার বন্ধ করতে বলতে পারব না।
- সিবিআই রিপোর্টে কী কী বিষয় উঠে এল?
আজ আদালতে আরজি কর কাণ্ডের তদন্তের ‘স্টেটাস রিপোর্ট’ জমা করে সিবিআই (CBI)। সেটা খুঁটিয়ে পড়ার পর প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় জিজ্ঞেস করেন, চার্জশিট জমা করতে কতদিন সময় লাগবে? একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় এজেন্সির তদন্ত নিয়েও সন্তুষ্টিপ্রকাশ করেন তিনি। বলেন, ‘সিবিআইয়ের তদন্ত ঘুমিয়ে যায়নি। তারা তদন্ত করছে। তদন্ত খুবই গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রয়েছে’।
আরও পড়ুনঃ হাসপাতালের জমিতে বাংলো? তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ! ED হানা হতেই তোলপাড়
প্রধান বিচারপতির কথায়, ‘তদন্ত রিপোর্ট আমরা দেখেছি। যে যে বিষয় নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল, সেগুলি তদন্তে উঠে এসেছে’। ময়নাতদন্তের পদ্ধতি মানা হয়েছিল কিনা, চালান দেওয়া হয়েছিল কিনা, তথ্য প্রমাণ নষ্ট সহ সম্পূর্ণ বিষয় রিপোর্টে বলা হয়েছে বলে জানান সিজেআই চন্দ্রচূড় (CJI DY Chandrachud)। একইসঙ্গে বলেন, কেন্দ্রীয় এজেন্সি রিপোর্টে যা দিয়েছে, সেটা ভীষণই উদ্বেগের।
আজকের শুনানির আগে জুনিয়র চিকিৎসকদের সংগঠন ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট’ আইনজীবী বদল করেছিল। এদিন তাঁদের হয়ে আদালতে সওয়াল করছেন প্রবীণ আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিংহ। তিনি এদিন শীর্ষ আদালতে (Supreme Court) বলেন, যারা ঘটনাস্থলে ছিলেন, সিবিআইকে তাঁদের নাম জমা দিতে চাই। সেখানে যাদের থাকার দরকার ছিল না, তাঁরাও ছিলেন। এখনই এটা প্রকাশ্যে আনতে চাই না, বলেন তিনি।