বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ৯ আগস্ট থেকে ৯ সেপ্টেম্বর। আরজি কর হাসপাতালে নারকীয় ধর্ষণ, হত্যাকাণ্ডের পর একমাস অতিক্রান্ত। সোমবার এই মামলার শুনানি চলছে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছে সিবিআই। একইসঙ্গে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকেও স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে।
রাজ্যকে বিরাট নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)!
এদিনের শুনানিতে নির্যাতিতার মৃত্যুর সময় থেকে শুরু করে মৃত্যুর ঘটনা কখন নথিবদ্ধ করা হয়েছিল জানতে চায় সর্বোচ্চ আদালত। একইসঙ্গে সিসিটিভি ফুটেজ, ঘটনাস্থল থেকে সন্দীপ ঘোষের (তৎকালীন অধ্যক্ষ) বাড়ির দূরত্ব নিয়েও প্রশ্ন করে আদালত (RG Kar Case)। আজ আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি বলেন, ২৭ বছরের দীর্ঘ কেরিয়ারে এমন মামলা তিনি দেখেননি।
- ফরেন্সিক রিপোর্ট নিয়ে সন্দেহ সিবিআইয়ের!
একজন জনস্বার্থ মামলাকারীর পক্ষে সওয়াল করছিলেন ফিরোজ। আদালতে (Supreme Court) তিনি বলেন, ‘রাত ১১:৪৫ নাগাদ এফআইআর দায়ের করা হয়। গত ২৭ বছরের কেরিয়ারে এমন মামলা দেখিনি’। একইসঙ্গে ময়নাতদন্তের সম্পূর্ণ রিপোর্ট খতিয়ে দেখার কথাও বলেন তিনি। আইনজীবীর দাবি, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উপস্থিত ডাক্তাররা একটি লবির।
আরও পড়ুনঃ সোমেই সব ‘ফাঁস’! তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যু কখন? সুপ্রিম শুনানিতে এবার সব জানাল রাজ্য
এদিন কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ আনে কেন্দ্র। জানানো হয়, আরজি কর হাসপাতালে তিন কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। তবে সহযোগিতা করছে না রাজ্য। একথা শুনে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় (CJI DY Chandrachud) বলেন, স্বরাষ্ট্র দফতরের সিনিয়র অফিসার সিআইএসএফের সিনিয়র অফিসার আলোচনা করে সম্পূর্ণ ব্যবস্থা করবেন। সোমবার রাত ৯টার মধ্যে নিরাপত্তা সম্বন্ধিত দরকারি জিনিস রাজ্য সিআইএসএফকে দেবে, নির্দেশ শীর্ষ আদালতের।
আরজি কর কাণ্ডে মৃতার ময়নাতদন্ত ঠিকভাবে হয়েছে কিনা সেটা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি। পাল্টা সিবিআইয়ের (CBI) তরফ থেকে জানানো হয়, পোস্টমর্টেম কখন করা হয়েছে সেই সময়ের কোনও উল্লেখ নেই। একইসঙ্গে তদন্তকারী সংস্থা জানায়, ফরেন্সিক রিপোর্ট নিয়েও তাঁদের মনে সংশয় রয়েছে। সেই কারণে তাঁরা সেটি এইমসে পাঠাতে চায়।
এখানেই শেষ নয়, এদিন সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) আরও একটি সংশয় প্রকাশ করে সিবিআই। কেন্দ্রীয় এজেন্সির তরফ থেকে বলা হয়, ‘এই ধরণের ঘটনার ক্ষেত্রে প্রথম ৫ ঘণ্টা খুবই জরুরি। তবে আমরা ৫ দিন পর গিয়েছে। তখন কিছু পাল্টে গিয়েছে’। নির্যাতিতার দেহ কখন ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছিল? শুনানি চলাকালীন সেটা জানতে চান প্রধান বিচারপতি। একইসঙ্গে তার চালান কোথায় সেটাও প্রশ্ন করেন তিনি। এই মামলায় ফের স্ট্যাটাস রিপোর্ট তলব করেছে শীর্ষ আদালত। আগামী মঙ্গলবার মামলার পরবর্তী শুনানি।