উত্তরাধিকার সূত্রে আর সরকারি চাকরি নয়! ঐতিহাসিক রায় সুপ্রিম কোর্টের

বাংলাহান্ট ডেস্ক : সরকারি চাকরি উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া অধিকার নয়, এমনটাই স্পষ্ট জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। পরিবারের কোনো সদস্যের অবসর বা মৃত্যুর পর আরেকজন সেই চাকরি পাবেন, এমনটা আর হবে না। সহানুভূতির ভিত্তিতে চাকরি ব্যক্তিগত অধিকার নয়, শুনানিতে স্পষ্ট জানাল শীর্ষ আদালত (Supreme Court)।

সরকারি চাকরি উত্তরাধিকার নয় মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)

রাজস্থানের এক বাসিন্দার করা মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) বলে, সহানুভূতির ভিত্তিত চাকরি ব্যতিক্রমী পরিস্থিতিতে বিবেচনার বিষয়। চাকরি দেওয়ার একমাত্র ভিত্তি হতে পারে আর্থিক দুর্দশা এবং প্রয়োজন। পরিবারে কোনো সরকারি কর্মীর মৃত্যুই চাকরি দেওয়ার জন্য যথেষ্ট নয়। তার জেরে অর্থ সঙ্কট তৈরি হয়েছে কিনা তা দেখতে হবে বলে জানায় সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)।

কোন মামলার রায়ে শুনানি: উল্লেখ্য, এই মামলা ২০১৫ সালের একটি ঘটনার উপরে ভিত্তি করে। সেন্ট্রাল এক্সাইজ বিভাগে কর্মরত এক আধিকারিকের মৃত্যুর পর তাঁর ছেলে একই দফতরের চাকরির আবেদন জানায় সহানুভূতির ভিত্তিতে। কিন্তু তাঁর পরিবার আর্থিকভাবে সচ্ছল, এই কারণ দেখিয়ে বিভাগের কর্তৃপক্ষ ওই চাকরির আবেদন খারিজ করে দেয়।

আরো পড়ুন : আহমেদাবাদ দুর্ঘটনা থেকেই শিক্ষা, কলকাতা বিমানবন্দর নিয়ে কড়া নির্দেশ পুরসভার

কী বলা হল শুনানিতে: জানানো হয়, ওই ব্যক্তির দুটি বাংলো, ৩৩ একর জমির পাশাপাশি বাবার মৃত্যুর পর মাসিক ৮৫ হাজার টাকা পেনশনও রয়েছে। তাই সহানুভূতির ভিত্তিতে চাকরি দেওয়ার কোনো পরিস্থিতি নেই। তারপরেই সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) মামলা করে মৃত সরকারি কর্মীর ছেলে। কিন্তু আদালতের তরফেও দেওয়া হল একই রায়। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা বলেন, সরকারি চাকরি উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া বস্তু নয়। এটি কোনো নিয়ম বা অধিকার নয়।

আরো পড়ুন : মুখে কালো রঙ মেখে চেনা দায়, জগন্নাথ রূপে ভাইরাল ‘কথা’! কটাক্ষ নেটিজেনদের

সরকারি কর্মচারীর মৃত্যুর পর যদি পরিবারে আর্থিক সঙ্কট আসে তবে তা বিবেচনা করে দেখা হতে পারে। কিন্তু পরিবারের স্থায়ী আয়ের উৎস থাকলে সেই যুক্তি খাটবে না। আইনজীবীদের মতে, সুপ্রিম কোর্টের এই রায় ঐতিহাসিক। ভবিষ্যতেও অনেক আবেদনের দিশা দেখাবে এই রায়।