বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিগত কয়েক দিন ধরেই বেঙ্গালুরুর তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার কর্মী অতুল সুভাষের আত্মহত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে গিয়েছে সারা দেশে। ওই তরুণের মৃত্যুর পর ২৪ পাতার একটি ‘সুইসাইড নোট’ সহ উদ্ধার হয়েছে ৮১ মিনিটের একটি ভিডিও। সেখানে তিনি বার বার স্ত্রী নিকিতা সিঙ্ঘানিয়া এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে হেনস্থা এবং টাকা চাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন।
গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)
গোটা ঘটনায় নিকিতা এবং তাঁর পরিবারের লোকেদের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার মামলা রুজু করেছে পুলিশ। এসবের মধ্যেই এবার এক আত্মহত্যার মামলায় প্ররোচনা দেওয়ার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। বৃহস্পতিবারেই এই মামলায় আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, শুধুমাত্র হেনস্থা করার অভিযোগ আনলেই কাউকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা যায় না।
তার জন্য প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে প্ররোচনা দেওয়ার স্পষ্ট প্রমাণ প্রয়োজন বলেই জানিয়েছে শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। প্রসঙ্গত গুজরাতের এক গৃহবধূর আত্মহত্যার মামলায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে। সুপ্রিম কোর্টে এদিন ওই মামলারই শুনানি ছিল।
প্রথমে মৃতার স্বামী ও তাঁর পরিবার ওই মামলা খারিজের আবেদন নিয়ে প্রথমে নিম্ন আদালত এবং পরে গুজরাত হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তখন যদিও রায় গিয়েছিল অভিযুক্তদের বিরুদ্ধেই। পরে তারা সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হন। এরপর বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালতের বিচারপতি বিক্রম নাথ এবং বিচারপতি পিবি ভারালের বেঞ্চ ওই মামলায় মহিলার স্বামী এবং তাঁর পরিবারের পক্ষেই রায় ঘোষণা করেছে।
আরও পড়ুন: খড়ের চাল দেওয়া মাটির বাড়ি! ‘দিদিকে বলো’তে ফোন করেও বীরভূমের এই যুবকের নাম এল না সমীক্ষায়
জানা যাচ্ছে ২০০৯ সালে বিয়ে হয়েছিল ওই মহিলার। কিন্তু বিয়ের পাঁচ বছর পরেও কোনও সন্তান হয়নি তাঁর। অভিযোগ, সন্তান না হওয়ায় তাঁর ওপর শারীরিক এবং মানসিক ভাবে অত্যাচারের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় তাঁর শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। সহ্যের বাঁধ ভাঙতেই ২০২১ সালে আত্মঘাতী হন ওই গৃহবধূ। মহিলার বাবার অভিযোগ,মেয়েকে তাঁর শ্বশুরবাড়ির সদস্যেরাই আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছে।
প্রথমে নিম্ন আদালত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জশিট গঠনের নির্দেশ দিয়েছিল। পরে হাই কোর্টও সেই নির্দেশই বহাল রাখে। তবে মামলা এসে ধাক্কা খায় সুপ্রিম কোর্টে। এই মামলায় সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছে, শুধুমাত্র হেনস্থা করার অভিযোগে নয় অভিযুক্তদের এমন কোনও কাজ যা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে আত্মহত্যায় ইন্ধন জুগিয়েছে তা প্রমাণ করতে পারলে তবেই অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করা হবে।