বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অফিসে যাওয়ার কথা মনে পড়লেই অনীহা আসে? মনে পড়ে যায় সিনিয়রের তিরস্কারের কথা? উনিশ থেকে বিশ হলেই বকুনি খেতে হয়? এবার এই নিয়েই বিরাট রায় দিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। সম্প্রতি বিচারপতি সন্দীপ মেহতা (Justice Sandeep Mehta) এবং বিচারপতি সঞ্জয় ক্যারলের (Justice Sanjay Karol) বেঞ্চের তরফ থেকে এই রায় দেওয়া হয়েছে।
কী রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)?
অফিসে সিনিয়রের কাছে তিরস্কৃত হওয়ার অভিজ্ঞতা কমবেশি প্রত্যেক চাকরিজীবীরই রয়েছে। এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলাও হয়েছিল। এবার তার প্রেক্ষিতেই বড় রায় দিয়ে দিল শীর্ষ আদালত। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চর্চা।
জানা যাচ্ছে, মামলাটি ২০২২ সালের। ন্যাশানাল ইনস্টিটিউট ফর এমপ্লয়মেন্ট অফ পারসনস উইথ ইন্টেলেকচুয়াল ডিস্যাবিলিটিজের ডিরেক্টরের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত অপমানের অভিযোগ আনা হয়েছিল। অভিযোগকারী ছিলেন তাঁরই একজন সহকর্মী অধ্যাপক। এই মামলার রায় দিতে গিয়েই সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) জানায়, বসের তিরস্কার চাকরিরই অংশ, তা কোনও অপরাধ নয়।
আরও পড়ুনঃ রাজনীতি ছাড়তে চেয়েছিলেন! কী কারণে কামব্যাক? অবশেষে ‘আসল কারণ’ ফাঁস করলেন দেব
অতীতে এই ধরণের ঘটনার ক্ষেত্রে জেল অবধি হতে পারতো। তবে এখন আর তেমনটা নেই! ২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৩৫২ নং ধারায় এই ধরণের অভিযোগ অপরাধের অধীন আসে না।
জানা যাচ্ছে, ২০২২ সালের ওই মামলায় অভিযোগকারীর অভিযোগ ছিল, তাঁর বসের বিরুদ্ধে সংস্থার উপরমহলে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। এরপর তাঁর বস তাঁকে ভীষণ বকাঝকা করেন। যে কারণে তিনি চরম অপমানিত বোধ করেন। এছাড়া তিনি আরও অভিযোগ করেন, ২০২০ সালে করোনা কালে অফিসে পর্যাপ্ত পরিমাণ কোভিড কিট ছিল না। এর ফলে সংস্থার কর্মীদের মধ্যে করোনা ছড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। তবে তাঁর বসের এই বিষয়ে কোনও হেলদোল ছিল না বলে অভিযোগ।
এই মামলার রায়ে শীর্ষ আদালত (Supreme Court) জানিয়েছে, কোনও রকম সম্ভাবনা অথবা ধারণার ওপর ভিত্তি করে কারোর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা যায় না। ইচ্ছাকৃতভাবে অপমান অথবা অসম্মান ছাড়া, কোনও নিম্নরুচির অপমানজনক মন্তব্য বা ব্যঙ্গ ছাড়া, অযথা টক্সিক পরিবেশ না থাকলে, অফিসে সিনিয়র অথবা বসের অপমান কখনও গ্রহণযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে না। সেটা সবসময়ই চাকরির অংশ। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, চাকরির ক্ষেত্রে একজন কর্মীর মনোযোগী ও যুক্তিযুক্ত হওয়া জরুরি। কর্মীদের নিজের কাজ অত্যন্ত দায়বদ্ধতার সঙ্গে করা উচিত বলে মনে করে শীর্ষ আদালত।