‘আপনি কার হয়ে মামলা লড়ছেন?’, বিরক্ত! আর জি কর শুনানিতে কেন একথা বললেন প্রধান বিচারপতি?

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কেটে গিয়েছে তিন-তিনটে মাস। আর জি কর (RG Kar) কাণ্ড নিয়ে এখনও উত্তাল রাজ্য। দিকে দিকে চলছে আন্দোলন, ওদিকে আদালতে চলছে মামলা। পশ্চিমবঙ্গ থেকে আরজি কর মামলার বিচারপ্রক্রিয়া সরানোর আর্জি জানানো হয়েছিল। তবে তাতে রাজি হয়নি সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালতে আরজি কর মামলার শুনানি ছিল। সেখানে এক আইনজীবী পশ্চিমবঙ্গের বাইরে কোথাও এই মামলার বিচারপ্রক্রিয়া চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার আবেদন জানান। যদিও আর্জি খারিজ করে দেয় সর্বোচ্চ আদালত।

আইনজীবীর আর্জি শুনে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘হ্যাঁ, আমরা মণিপুরের মতো ঘটনায় এরকম করেছি। কিন্তু এই মামলায় এরকম কিছু করা হবে না। এই মামলার কোনও স্থানান্তর হবে না।’ শুনানি চলাকালীন এক আইনজীবী বলেন, সাধারণ মানুষ পুলিশ এবং বিচারব্যবস্থার উপর থেকে আস্থা হারাচ্ছেন। একথা শুনে কার্যত বিরক্ত হয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আপনি কার হয়ে মামলা লড়ছেন? কোর্টে স্রেফ ক্যান্টিনের গসিপ হচ্ছে।’

পরপর দুদিন শুনানি পেছনোর পর বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টের কিছু আগে আর জি কর মামলার শুনানি শুরু হয় সুপ্রিম কোর্টে। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে স্টেটাস রিপোর্ট জমা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। অন্তর্বর্তী রিপোর্ট জমা দিয়েছে জাতীয় টাস্ক ফোর্স। সুপ্রিম কোর্ট সেই রিপোর্ট প্রত্যেক রাজ্যের মুখ্যসচিবকে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে ।

টাস্ক ফোর্সের রিপোর্ট দেখার পর মুখ্যসচিবদের কোনও পরামর্শ দেওয়ার থাকলে তারা সেটা দিতে পারেন বলে জানিয়েছে আদালত। প্রক্রিয়াটা তিন সপ্তাহের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে জুনিয়র ডাক্তাররা টাস্ক ফোর্সে মেডিক্যাল কলেজের প্রতিনিধিদের রাখার আবেদন জানান। প্রধান বিচারপতি জানান সুপারিশ জমা দেওয়া হোক।

Supreme Court

আরও পড়ুন: জানুয়ারিতে বাড়বে DA, তবে মাত্র ১ শতাংশ! আপডেট সামনে আসতেই শোরগোল

বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রর বেঞ্চে স্টেটাস রিপোর্ট জমা দেয় সিবিআই। রিপোর্ট পড়েই ৪ সপ্তাহ পর কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে পরবর্তী রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি তদন্ত চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।

ad

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর