বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পুরুষতান্ত্রিক সমাজে মহিলাদের প্রতি বৈষম্য নতুন কোনো বিষয় নয়। এবার ভারতীয় সেনাবাহিনীতে পদোন্নতি বিষয়ক বৈষম্যের অভিযোগ মহিলাদের, ২ সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রের জবাবদিহির নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের ( Supreme Court )। ৩৪ জন আবেদনকারীর পক্ষে এই পিটিশনটি সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা হয়েছিল। এর মধ্যে রয়েছেন কর্নেল (টিএ স) প্রিয়মভাদা এ মার্ডিকার এবং কর্নেল (টিএস) আশা কালে।
২০২০ সালে সেনাবাহিনীতে মহিলাদের স্থায়ী কমিশনড পদে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে স্থায়ী কমিশন দেওয়া সেনাবাহিনীর ৩৪ জন মহিলা অফিসার পদোন্নতিতে বিলম্বের অভিযোগ করেছেন। সোমবার আদালতে এ বিষয়ে শুনানি হয়। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ২ সপ্তাহের মধ্যে জবাব চেয়েছে আদালত। প্রধান বিচারপতি ধনঞ্জয় ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি হিমা কোহলির বেঞ্চ বলেছেন, “আমরা চাই এই সমস্ত মহিলাদের জ্যেষ্ঠত্ব দেওয়া হোক।”
কর্নেল (টিএস) প্রিয়মভাদা এ মার্ডিকার এবং কর্নেল (টিএস) আশা কালে সহ ৩৪ জন আবেদনকারীর পক্ষে সুপ্রিম কোর্টে আবেদনটি দায়ের করা হয়েছে। তারা দুজনই স্থায়ী কমিশনপ্রাপ্ত নারী কর্মকর্তা। প্রায় দু মাস আগে ডাকা বিশেষ নির্বাচক বোর্ডে বৈষম্যের অভিযোগ তুলেছেন তিনি। তাদের দাবি, তাদের চেয়ে অনেক জুনিয়র ওই পুরুষ কর্মকর্তাদের নামও পদোন্নতির জন্য বাড়ানো হয়েছে।
তবে প্রশ্ন এখনও ‘নারীদের জন্য নির্বাচন বোর্ড গঠন করা হচ্ছে না কেন?’
আদালতে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে উপস্থিত সিনিয়র আইনজীবীর প্রশ্নে আর বালাসুব্রমানিয়ান জানান যে ১৫০ টি অতিরিক্ত পদের জন্য, খুব শীঘ্র মহিলা অফিসারদের জন্য একটি বিশেষ নির্বাচন বোর্ড ডাকা হবে, যা ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের কাছ থেকে অনুমোদন পাওয়ার চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
আদালতে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে উপস্থিত আইনজীবী শুনানির পরবর্তী তারিখ পর্যন্ত কোনও আদেশ না দেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন, আদালত এই বিষয়ে শুনানি ২ সপ্তাহের জন্য মুলতবি করেছে । শিগগিরই নারী আবেদনকারীদের সমস্যা সমাধান করা হবে বলে আশ্বাস দেন সেনাবাহিনীর আইনজীবি। সেনাবাহিনীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ মামলার শুনানি দুই সপ্তাহের জন্য স্থগিত করে। এই ১৪ দিনের মধ্যে মহিলাদের পদোন্নতির বিষয়ে একটি বোর্ড গঠন করা যেতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।