বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দেশের নানান প্রান্তে কয়লা কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছে। বহুক্ষেত্রে সেই জল গড়িয়েছে আদালত অবধি। এবার এমনই একটি মামলায় কলকাতার একটি সংস্থাকে ক্লিনচিট দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। সেই সঙ্গেই কেন্দ্রীয় এজেন্সি তীব্র ভর্ৎসনা করল শীর্ষ আদালত।
কয়লা কেলেঙ্কারি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) তোপের মুখে সিবিআই!
মহারাষ্ট্রের ৩টি কয়লা ব্লক থেকে কয়লা উত্তোলনের দায়িত্ব পায় কর্ণাটক পাওয়ার কর্পোরেশন লিমিটেড। এই সংস্থা এবং কলকাতার ইস্টার্ন মিনারেল অ্যান্ড ট্রেডিং এজেন্সি যৌথ উদ্যোগে কর্ণাটক এমটা কোল মাইনস লিমিটেড তৈরি করে কর্ণাটক পাওয়ার কর্পোরেশন লিমিটেডকে বেল্লারি থার্মাল পাওয়ার স্টেশনে ক্যাপটিভ ব্যবহারের খাতিরে বরাদ্দ কয়লা (Coal Scam) খনিগুলি পরিচালনা এবং উন্নয়ন করতে।
এদিকে অভিযোগ ওঠে, কলকাতার ইস্টার্ন মিনারেল অ্যান্ড ট্রেডিং এজেন্সি বেআইনিভাবে কয়লা তুলে বেআইনিভাবে লাভবান হচ্ছে। কর্ণাটক পাওয়ার কর্পোরেশন লিমিটেড এবং ইস্টার্ন মিনারেল অ্যান্ড ট্রেডিং এজেন্সির বিরুদ্ধে ৫৩.৩৭ কোটি টাকা অবৈধভাবে লাভের অভিযোগ উঠেছিল। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে সিবিআই (CBI)। বিশেষ সিবিআই আদালতে ওই দুই সংস্থাকে দোষী সাব্যস্ত করা হলে তারা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। এবার সেখানে তাদের পক্ষে রায় দিল শীর্ষ আদালত।
আরও পড়ুনঃ মর্গে থাকতো মদ! সন্দীপ জমানায় আরজি করে কী কী হতো? বোমা ফাটালেন প্রাক্তন মর্গ-কর্মী
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি আহসানুদ্দিন আমানুল্লার বেঞ্চের বক্তব্য, ক্যাগ অডিট রিপোর্টে ভরসা করে দায়সারাভাবে তদন্ত হয়েছে। অথচ ওই রিপোর্ট চূড়ান্ত নয় বলে দাবি সর্বোচ্চ আদালতের। ক্যাগ এখনও চূড়ান্ত রিপোর্ট পেশ না করলেও, ওই রিপোর্টকেও হাতিয়ার বানিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা।
ক্যাগ চূড়ান্ত রিপোর্ট পেশ না করায় দুর্নীতিদমন আইনের (১৯৮৮) একগুচ্ছ ধারায় কর্ণাটক এমটা কোল মাইনস লিমিটেডের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলা খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। সর্বোচ্চ আদালতের কথায়, একটি ব্যবসায়িক চুক্তিকে ‘অপরাধমূলক’ হিসেবে প্রমাণ করতে সম্পূর্ণ মামলাকে পিছনের দিকে পরিচালনা করেছে সিবিআই। দুই কোম্পানির চুক্তিতে কোনও রকম ত্রুটি রয়েছে কিনা, সেটা অবৈধ কিনা তা কেন্দ্রীয় এজেন্সি প্রমাণ করতে পারেনি। বর্জ্য নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রেও কোনও রকম অবৈধ তৎপরতা পাওয়া যায়নি। তাই এবার নিম্ন আদালতের রায় খারিজের পাশাপাশি এই মামলা খারজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট।