সুপ্রিম কোর্টে খারিজ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়! আপাতত বহাল ৩২০০০ শিক্ষকের চাকরি

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রাথমিক শিক্ষক (Primary Tet) মামলায় শীর্ষ আদালতের বড় রায়। শুক্রবার প্রাথমিকে ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল ও পুনর্নিয়োগ নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) । কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Calcutta High Court Justice Abhijit Ganguly) একক বেঞ্চের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ জারি করল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। প্রসঙ্গত, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এবং শিক্ষকদের একাংশের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এই নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।

৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের যে নির্দেশ দিয়েছিল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ, সেই নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রাথমিকে ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল ও পুনর্নিয়োগ নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিতাদেশ জারি সর্বোচ্চ আদালতের। আপাতত মামলাটি হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে বিচারাধীন। তাই সেই মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোনদিকেও

অন্যদিকে , শীর্ষ আদালতের এই নির্দেশের পরই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে বেনজির আক্রমণ শানালেন তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য। এদিন সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরই নিজের ফেসবুকে একটি পোস্ট করে দেবাংশু লেখেন, “দালাল গাঙ্গুলি আবার থাপ্পড় খেলো.. একদম কষা থাপ্পড়.. সাথে সাথেই থাপ্পড় খেলো রাজনৈতিক শকুনের দল ও একাংশ দালাল মিডিয়া। #পরপরথাপ্পড়”

প্রসঙ্গত, বঙ্গের নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় প্রথমে একজোটে ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গাঙ্গুলি। পরে সংখ্যা পরিবর্তন করে হয় ৩২ হাজার। পর্ষদকে বিচারপতির নির্দেশ ছিল, আগামী চার মাসের মধ্যে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। বিচারপতি এও বলেছিলেন, চাকরিচ্যুতরা আগামী ৪ মাস স্কুলে যেতে পারলেও তাদের পার্শ্বশিক্ষকের বেতন দেওয়া হবে। তবে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় চাকরিচ্যুতরা অংশ নিতে পারবেন বলেও জানান তিনি।

tet supreme court

বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যান চাকরিহারাদের একাংশ। ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, ওই ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষককে পার্শ্বশিক্ষক হিসাবে কাজ করতে হবে না। তারা যেমন ছিলেন তাই থাকবেন। তবে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নতুন নিয়োগ পক্রিয়া নিয়ে দেওয়া নির্দেশ বহাল রাখে ডিভিশন বেঞ্চ।

ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, পর্ষদকে নতুন করে নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। সেই নিয়োগপ্রক্রিয়ায় অংশ নিতে হবে এই ৩২ হাজার শিক্ষককেও। তারা সেখানে উত্তীর্ণ না হলে চাকরি খোয়াবেন। এরপর হাইকোর্টের নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাত চাকরিহারা দের একাংশ ও পর্ষদ কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার সেই মামলারই রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট।


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর