বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এবার সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) ভর্ৎসনার মুখে সরকারি শিক্ষকেরা (Teachers)। পরীক্ষা না দিতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন, আর তাতেই সর্বোচ্চ আদালতের ক্ষোভের মুখে রাজ্যের সরকারি শিক্ষকরা। সম্প্রতি বিহার সরকার রাজ্য সরকারি স্কুলগুলিতে কর্মরত শিক্ষকদের যোগ্যতা নিশ্চিত করতে একটি পরীক্ষা চালুর কথা বলেছে। ওই পরীক্ষার বিরোধিতা করেই সুপ্রিম কোর্টে যান শিক্ষকদের একাংশ।
পঞ্চায়েত দ্বারা নিযুক্ত শিক্ষকদের রাজ্য সরকারি শিক্ষকের সমস্তরে নিয়ে যাওয়ার জন্য গত বছর একটি নতুন যোগ্যতার পরীক্ষা চালু করার ঘোষণা করেছিল বিহারের শিক্ষা দফতর। এই নিয়েই বিরোধীতায় নামেন ওই পঞ্চায়েত স্তরের শিক্ষকরা। আগে এই সংক্রান্ত মামলা নিয়ে পটনা হাই কোর্টে গিয়েছিলেন শিক্ষকরা। তবে উচ্চ আদালত শিক্ষকদের আবেদন খারিজ করে দেয়। এরপর শিক্ষকদের হয়ে সুপ্রিম কোর্টে যায় বিহারের পরিবর্তনকারী প্রারম্ভিক শিক্ষক সঙ্ঘ। তবে এদিন হাই কেটের রায়ই বহাল রাখল সর্বোচ্চ আদালত।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, সকল শিক্ষককেই সরকার নির্ধারিত ওই যোগ্যতার পরীক্ষা দিতে হবে। এদিন শিক্ষকদের আবেদন শুনে রীতিমতো তাদের তুলোধোনা করে সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি বিভি নাগরত্ন শিক্ষকদের সমালোচনা করে বলেন, ‘‘এটাই কি এই দেশের শিক্ষাব্যবস্থার মান? এক জন স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী শিক্ষক হিসেবে চাকরি পেয়েছেন, ওদিকে সামান্য একটি ছুটির আবেদনপত্র লিখতে পারেন না?”
আরও পড়ুন: ‘ভণ্ডামি’, ‘কলকাতারই কেউ চেনে না..,’ দিল্লিতে মেট্রো চেপে সংসদে যেতেই ট্রোলড সায়নী
বিচারপতির কথায়, ” বিহারের মতো একটি রাজ্য যখন শিক্ষকদের যোগ্যতার পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষাব্যবস্থা আরও উন্নত করার চেষ্টা করছে, সেখানে দাঁড়িয়ে এর বিরোধিতা করা হচ্ছে!’’ মামলাকারী শিক্ষকদের উদ্দেশে বিচারপতির মন্তব্য, ‘‘আপনারা যদি এই যোগ্যতার পরীক্ষার দিতে না পারেন, তা হলে আপনাদের পদত্যাগ করা উচিত।’’