বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অবশেষে মহারাষ্ট্রে হতে চলেছে আস্থা ভোট। গতকাল সুপ্রিম কোর্টে শুনানি শেষে রাজ্যপালের নির্দেশই বহাল থাকলো। ফলে আজই মহারাষ্ট্রে সকল নাটকের অবসান ঘটতে চলেছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। আপাতত পাল্লা ঝুঁকে একনাথ শিন্ডের পক্ষে। তবে শেষপর্যন্ত আস্থা ভোটে কি হয়, সেটাই দেখার।
প্রসঙ্গত, বিগত বেশ কয়েকদিন ধরে টালবাহানার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে মহারাষ্ট্রের রাজনীতি। মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের বিরুদ্ধে সম্প্রতি বিদ্রোহ করেন একনাথ শিন্ডে। এরপরই চল্লিশের ওপর বিধায়ক সঙ্গে নিয়ে নতুন দল গড়ার কথাও জানান তিনি। এরপরেই একপ্রকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর পথে অগ্রসর হতে থাকে শিবসেনা। এর মাঝেই মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা দেবেন্দ্র ফড়নবিশের সঙ্গে রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারির বৈঠকের পর বৃহস্পতিবার বিশেষ অধিবেশন ডেকে আস্থা ভোট করার নির্দেশ দেন তিনি।
যদিও রাজ্যপালের নির্দেশের বিপক্ষে সুপ্রিম কোর্টে যায় শিবসেনা। তাদের দাবি, “মহারাষ্ট্রে বিদ্রোহী 16 জন বিধায়কের বিরুদ্ধে আমরা বিধানসভায় আইন এনেছি। এই পরিস্থিতিতে আস্থা ভোট ঘোষণা করা অনুচিত।” অবশ্য তাদের সকল আশায় এদিন একপ্রকার জল ঢেলে দিলো সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকাল 11 টা থেকে বিকেল 5 টার মধ্যে আস্থা ভোট করতে হবে।
প্রসঙ্গত, এই নিয়ে বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবিশ বলেন, “বর্তমানে শিবসেনা ছেড়ে 39 জন বিধায়ক বেরিয়ে গিয়েছেন। একইসঙ্গে আরও বেশ কয়েকজন নির্দল নেতারাও একই পথ অবলম্বন করেছে। ফলে বর্তমানে রাজ্য চালানোর জন্য যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রয়োজন হয়, তা নেই শিবসেনার। সেই কারণেই আমি রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করি, কারণ এখন রাজ্যে আস্থা ভোট দরকার।”