‘এভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার…’! ‘বুলডোজার নীতি’ নিয়ে বড় রায় সুপ্রিম কোর্টের! তোলপাড় দেশ

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ‘বুলডোজার নীতি’ নিয়ে এবার বড় রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। এই নীতি নিয়ে এর আগেও প্রশ্ন তুলেছে শীর্ষ আদালত। এবার রায় শোনালো বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথন এবং বিচারপতি বি আর গাভাইয়ের বেঞ্চ। সর্বোচ্চ আদালত স্পষ্ট জানিয়েছে, বাসস্থানের অধিকার এদেশের নাগরিকদের মৌলিক অধিকার। নিরপরাধ মানুষকে এই ধরণের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা অসাংবিধানিক।

  • বুলডোজার নীতি নিয়ে বড় রায় সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)!

অপরাধের মামলায় অভিযুক্ত অথবা দোষী কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ হিসেবে তাঁর বাড়ি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার প্রবণতা নতুন নয়। উত্তরপ্রদেশ থেকে শুরু করে আস্তে আস্তে দিল্লি, মধ্যপ্রদেশ সহ এদেশের নানান রাজ্যে এই প্রবণতা ছড়িয়ে পড়েছে। এই ‘বুলডোজার নীতি’র (Bulldozer Justice) বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়েছিল। এবার তাতেই বড় রায় দিল আদালত।

বুধবার এই মামলায় শীর্ষ আদালতের (Supreme Court) বিচারপতি বিশ্বনাথন এবং বিচারপতি গাভাইয়ের বেঞ্চ জানিয়ে দিল, পুলিশ-প্রশাসন কোনও ব্যক্তিকে ‘দোষী’ সাব্যস্ত করে সাজা দিতে পারে না। এবার থেকে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনেই বাড়িঘর এবং অন্যান্য ‘বেআইনি’ কাঠামো ভাঙতে হবে।

আরও পড়ুনঃ চরমে গোষ্ঠীকোন্দল! এবার মমতাকে বিস্ফোরক রিপোর্ট অভিষেকের! ফাঁস হতেই শোরগোল

এদিন জাস্টিস গাভাই (Justice BR Gavai) বলেন, ‘বাসস্থানের অধিকারের বিষয়টি আমরা গুরুত্ব দিয়ে দেখেছি। সংবিধানের ১৯ ও ২১তম অনুচ্ছেদেও এই বিষয়ে উল্লেখ আছে। বাসস্থানের অধিকার একটি মৌলিক অধিকার। নিরপরাধ মানুষকে এই ধরণের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক’।

সুপ্রিম কোর্ট বলে, কোনও নির্দিষ্ট বাড়ি অথবা কাঠামো যখন আচমকা ভাঙার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং অন্য কাঠামোগুলিকে ছাড় দেওয়া হয়, তখন ধরে নেওয়া যেতে পারে অবৈধ নির্মাণে বাধা দেওয়ার জন্য এই কাজ করা হচ্ছে না। বরং আইনের ঊর্ধ্বে গিয়ে কোনও ব্যক্তিকে সাজা দিতেই করা হচ্ছে।

Supreme Court

জাস্টিস গাভাই এদিন স্পষ্ট জানিয়েছেন, এইভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার মেনে নেওয়া যায় না। কে দোষী আর কে দোষী নন, সেটা কোনও ব্যক্তি বিচার করতে পারেন না। এভাবে কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নিতে পারেন না’।

সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশ, আগে থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ছাড়া কোনও কাঠামো ভাঙা যাবে না। শোকজ নোটিশ পাঠানোর পর ১৫ দিন সময় দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এরপর এই বিষয়ে জেলাশাসককে জানাতে হবে। তাঁর নিয়োগ করা নোডাল অফিসারের তত্ত্বাবধানে কাঠামো ভাঙার ব্যাপারটি বিবেচনা করে দেখা হবে। সংবিধানের ১৪২ ধারা অনুসারে এই বিষয়ে নির্দেশিকাও জারি করেছে সর্বোচ্চ আদালত।


Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর