বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) উচ্চপদে নিয়োগের স্বচ্ছতা নিয়ে মামলা দায়ের হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। এই ইস্যুতেই এবার দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ নিয়ে ঐতিহাসিক রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। এখন থেকে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগে আর বজায় থাকছে না কেন্দ্রের একাধিপত্য।
বৃহস্পতিবার দেওয়া আদালতের ঐতিহাসিক রায় অনুযায়ী, এবার থেকে এক বিশেষ প্যানেল মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচনী আধিকারিকদের নিয়োগ করবে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী সেই প্যানেলে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী, লোকসভার বিরোধী দলনেতা। পাশাপাশি থাকবেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি।
এদিন বিচারপতি কে এম জোসেফের নেতৃত্বাধীন সাংবিধানিক বেঞ্চের নির্দেশ অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী, লোকসভার প্রধান বিরোধী দল এবং প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে একটি গড়া কমিটির সুপারিশ মেনেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ করবেন। পাশাপাশি, সুপ্রিম কোর্টের উল্লেখ, ‘নির্বাচনের স্বচ্ছতা বজায়’ রাখতেই এই ঐতিহাসিক রায় নেওয়া হয়েছে।
এদিন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী বলা হয়েছে, মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক ও আরও দুই নির্বাচনী আধিকারিক যারা দেশ জুড়ে ভোটের দায়িত্ব থাকবেন, এবার থেকে তাদের এই নতুন নিয়মের মাধ্যমে নিয়োগ করা হবে। অর্থাৎ, সিবিআই প্রধান যেই নিয়মে নিয়োগ হয় সেই মতই এবার নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করার কথা বলা হয়েছে আদালত তরফে।
সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, ‘নির্বাচন অবশ্যই স্বচ্ছ হওয়া উচিত। নির্বাচন কমিশনকে সেই স্বচ্ছতা বজায় রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।’ পাশাপাশি, ‘গণতন্ত্রে স্বচ্ছ নির্বাচন হওয়া জরুরি, নাহলে তার ফল ধ্বংসাত্মক হতে পারে।’ তাই এই ঐতিহাসিক রায় নেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, এতদিন পর্যন্ত এই তিন আধিকারিকদের প্রধানমন্ত্রীর সুপারিশ মেনে নিয়োগ করতেন রাষ্ট্রপতি।