বাংলাহান্ট ডেস্ক : একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর রাজ্যে বিভিন্ন জায়গায় সন্ত্রাসের ঘটনায় বড় পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)। সন্ত্রাসের ঘটনায় অভিযুক্ত পাঁচজন অভিযুক্তের জামিন খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত। কলকাতা হাইকোর্ট তাদের জামিন দিলেও হাইকোর্টের রায় খারিজ করে দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট জাজানায় বিরোধীদের দলের উপরে হামলা আদতে গণতন্ত্রের উপরে হামলা।
ভোট পরবর্তী হিংসায় বড় পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)
যে ঘটনার প্রেক্ষিতে মামলা তা ২০২১ সালে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের পরবর্তী সময়কার। ভোটের ফল ঘোষণার পর রাজ্যে হিংসার একাধিক অভিযোগ ওঠে। বিরোধীদের বাড়িঘর ভাঙচুর, আগুন জ্বালানো, নারী নির্যাতনের মতো গুরুতর অভিযোগে সরগরম হয় রাজ্য রাজনীতি। ওই মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। তারপরেই হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার।
গুরুতর অভিযোগ বিজেপি কর্মীর: সুপ্রিম কোর্টেও (Supreme Court) সিবিআই তদন্তের নির্দেশই বহাল রাখা হয়, তবে সিবিআই মামলা গুলির ভিন রাজ্যে ট্রায়াল চেয়ে আদালতে আবেদন করে সিবিআই। এদিকে ২০২১ সালের ২ রা মে-র ঘটনার প্রেক্ষিতে এদিন মতামত জানায় সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। ওই ঘটনায় অভিযোগকারী বিজেপি সমর্থক দাবি করেছিলেন, বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরেই তাঁর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। তাঁকে মারধোরের পাশাপাশি তাঁর স্ত্রীকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয় বলেও অভিযোগ করেছিলেন তিনি।
আরো পড়ুন : নুসরতের ‘শর্ত’ মানতে নারাজ, ৫ মাস ধরে আলাদা থাকছেন যশ! বিচ্ছেদের পথে ‘যশরত’?
নেওয়া হয়নি এফআইআর: ওই ঘটনায় অভিযুক্ত ছিলেন শেখ জামির, শেখ নুরুই, শেখ রাহুল, শেখ আসরফ, শেখ কাবিরুল এবং জয়ন্ত ডোম। শীর্ষ আদালত (Supreme Court) বলে, ওই ঘটনার পরেরদিন অর্থাৎ ৩ রা মে অভিযোগকারীর এফআইআর নিতে অস্বীকার করে সংশ্লিষ্ট থানা। আত্মরক্ষার খাতিরে স্ত্রীকে নিয়ে ঘরছাড়া ছিলেন অভিযোগকারী।
আরো পড়ুন : মুখ বদলের হুজুগ, শুরু হতে না হতেই বড়সড় পরিবর্তন এই নতুন ধারাবাহিকে
এই মামলায় সিবিআই এর অভিযোগকেই মান্যতা দিয়ে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিক্রম নাথ এবং বিচারপতি সন্দীপ মেহতা উল্লেখ করেন, বিরোধী রাজনীতির কারণেই এই হামলা। বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মী সমর্থকদের উপরে হামলা আসলে গণতন্ত্রের উপরে হামলা বলেও উল্লেখ করে সুপ্রিম কোর্ট।