একেবারে ‘ফুলস্টপ! দিল্লিতে দূষণ কমাতে সারাবছর বাজি পোড়ানো নিষিদ্ধ করা হোক, বলল সুপ্রিম কোর্ট

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পাল্লা দিয়ে বেড়েই চলেছে দিল্লির দূষণ। তাই দূষণ নিয়ন্ত্রণে আনতেপি এবার শব্দবাজি পোড়ানো নিয়ে এবার কড়া নিয়ম আনার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। সেই সাথে দিল্লি দূষণ মামলায় বাজি ফাটানো বন্ধ করা পুলিশের ভূমিকা অসন্তোষ প্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। যেহেতু এখন প্রায়  সারা বছর ধরেই দূষণ বেড়ে চলেছে তাই শুধুমাত্র উৎসবের দিনগুলোতে নয় সারা বছরই বাজি ফাটানোর ওপর কড়াকড়ি থাকা উচিত বলেই মনে করছে শীর্ষ আদালত (Supreme Court)।

দিল্লিতে বাজি পোড়ানোয় কড়া নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)

কারণ শুধুমাত্র দীপাবলীর সময় নিষেধাজ্ঞা জারি করা চোখে ধুলো দেওয়ার মতো বলেই দাবি শীর্ষ আদালতের। তাই  এবার  সুপ্রিম কোর্ট চাইছে রাজধানী দিল্লিতে বাজি কেনাবেচা বন্ধ করতে দিল্লি পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ করুক। এ প্রসঙ্গে বিচারপতি অভয় এস ওকা এবং বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসিহ্‌রের বেঞ্চে মামলাটির শুনানি ছিল।

শুনানি চলাকালীন এই মামলার রায়ে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে সংবিধানের একুশ অনুচ্ছেদ অনুসারে প্রত্যেক মানুষের দূষণমুক্ত পরিবেশে বাঁচার মৌলিক অধিকারের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু লাগাতার এই দূষণের কারণে তাতে ব্যাঘাত ঘটছে। এছাড়াও বলা হয়েছে কোন ধর্মই এমন কথা বলে না যা পরিবেশে  দূষণ ছড়ায়।

আরও পড়ুন: বিশেষভাবে সক্ষম দুই কন্যার বাবা! প্রাক্তন প্রধান বিচারপতির জীবন হার মানাবে সিনেমার গল্পকে

তাই শুধু উৎসবের সময়েই নয় সারা বছর বাজি ফাটানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার কথা বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। সেইসাথে গোটা বিষয়টি বিবেচনা করে  আগামী ২৫ নভেম্বরের মধ্যে এই বিষয়ে সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছে আদালত। সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চ প্রশ্ন তোলেন ‘কেন শুধুমাত্র অক্টোবর থেকে জানুয়ারি মাস পর্যন্তই বাজি তৈরি, কেনাবেচা এবং ফাটানোর উপর এই কড়াকড়ি? সারা বছর কেন কড়াকড়ি নেই? দূষণ তো সারা বছর ধরেই বৃদ্ধি পাচ্ছে।’

Supreme Court

উত্তরে সলিসিটর জেনারেল ঐশ্বর্য ভাটিয়া জানান উৎসবের মরশুমে ,উৎসবের মরসুমে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কারণ উৎসবের সময় দূষণের মাত্রা অনেক বেড়ে যায়। যদিও এই জবাবে একেবারে সন্তুষ্ট হতে পারেনি সুপ্রিম কোর্ট।


Anita Dutta
Anita Dutta

অনিতা দত্ত, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর