বাংলা হান্ট ডেস্কঃ জলাতঙ্ক রোগীদের (Rabies Patients) স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানিয়ে দায়ের করা হয়েছে জনস্বার্থ মামলা। এর আগে দিল্লি হাইকোর্টের (Delhi High Court) তরফ থেকে এই আর্জি খারিজ করে দেওয়া হয়েছিল। এবার সেই জল গড়াল শীর্ষ আদালত (Supreme Court) অবধি। ২০১৯ সালে দিল্লি হাইকোর্টের তরফ থেকে রায় দেওয়া হয়েছিল। এবার সেটা নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বি আর গাভাই এবং বিচারপতি কে বিনোদ চন্দ্রনের বেঞ্চ।
সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) শুনানি কবে?
জানা যাচ্ছে, অল ক্রিচার্স গ্রেট অ্যান্ড স্মল নামক একটি সংস্থার তরফ থেকে দিল্লি হাইকোর্টের রায় চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে ওই বেসরকারি সংস্থা। তাদের দাবি, উচ্চ আদালত জানিয়েছে, জলাতঙ্ক আক্রান্তদের জন্য এমন একটি পদ্ধতি নির্ধারণ করা উচিত, যাতে রোগীরা স্বেচ্ছামৃত্যুর জন্য ডাক্তারদের সাহায্য নিতে পারেন।
দিল্লি হাইকোর্টের এই নির্দেশ যাতে অবিলম্বে ফিরিয়ে নেওয়া হয়, সেই জন্য সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয়েছে অল ক্রিচার্স গ্রেট অ্যান্ড স্মল নামক ওই সংস্থা। দায়ের করা হয়েছে একটি জনস্বার্থ মামলা। আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে এই মামলার শুনানি হবে বলে খবর। দিল্লি হাইকোর্টের তরফ থেকে যে রায় দেওয়া হয়েছিল, সেটা পুনর্বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শীর্ষ আদালত।
আরও পড়ুনঃ জোর ধাক্কা! ফের ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা উত্তরবঙ্গে! আহত শিশু সহ একাধিক
জানা যাচ্ছে, এর আগে ২০২০ সালে সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রকে নোটিশ পাঠায় ও ২০১৯ সালে দায়ের করা আর্জির ওপর স্বাস্থ্য এবং পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের উত্তর চেয়ে পাঠানো হয়। সোমবার মামলাকারীর আইনজীবী আদালতে বলেন, কেন্দ্রের তরফ থেকে ২০১৮ সালে এই বিষয়ে পাল্টা হলফনামা দাখিল করা হয়েছে। আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে এই জনস্বার্থ মামলার (PIL) শুনানি হবে বলে জানিয়েছে বেঞ্চ।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের মার্চ মাসে শীর্ষ আদালতের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চের তরফ থেকে মৃত্যুর অধিকারকে জীবনের অধিকারের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। পরোক্ষ স্বেচ্ছামৃত্যুকে (Euthanasia) বৈধতা দেওয়া হয়। তবে জলাতঙ্ক আক্রান্তদের ক্ষেত্রে যাতে ব্যতিক্রমী কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায়, সেই বিষয়ে অনুরোধ জানানো হয়। বলা হয়, এই রোগ বাকি রোগের চেয়ে অনেক বেশি যন্ত্রণাদায়ক ও এই রোগে মৃত্যুহার ১০০%।
সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) তরফ থেকে অবশ্য স্পষ্ট জানানো হয়েছিল, রোগী চাইলেই স্বেচ্ছামৃত্যু পেয়ে যাবেন না। নিয়ম অনুযায়ী, দু’টি মেডিক্যাল পর্যবেক্ষণের পরেই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বলা হয়েছে, প্রথমে তিনজন ডাক্তারের প্রাথমিক বোর্ড রোগীকে দেখবেন। রোগীর যদি বেঁচে থাকার কোনও প্রকার সম্ভাবনা না থাকে, তাহলে দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা ও পর্যালোচনা শুরু হবে। দ্বিতীয় মেডিক্যাল বোর্ডে একজন সরকার নিযুক্ত ডাক্তারের পাশাপাশি আরও তিনজন ডাক্তার থাকবেন। আদালতে ওই দুই রিপোর্ট জমা করতে হবে।