বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সন্দেশখালিকাণ্ডে (sandeshkhali incident) ‘সুপ্রিম’ স্বস্তিতে রাজ্য। ১৪ ফেব্রুয়ারী বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদারকে (MP Sukanta Majumdar) হেনস্থার অভিযোগ ওঠে রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় সুকান্তর অভিযোগের ভিত্তিতে বাংলার ডিজিপি রাজীব কুমার-সহ তিন পুলিশকর্তা, রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসককে তলব করে লোকসভার স্বাধিকার রক্ষা কমিটি। ওদিকে সেই নোটিসকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন মুখ্যসচিব বি পি গোপালিকা। আজ সেই মামলার শুনানিতে প্রিভিলেজ কমিটির ওই নোটিসে আপাতত স্থগিতাদেশ জারি করল শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। আগামী ৪ সপ্তাহ পর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
প্রসঙ্গত, বেশ কিছুদিন ধরে স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছে সন্দেশখালি। গত বুধবার ১৪ ফেব্রুয়ারী সরস্বতী পুজোর দিন সেই সন্দেশখালি যাওয়ার পথেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে বাধা দেয় পুলিশ। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তিতে অসুস্থ হয়ে পড়েন সুকান্ত। তড়িঘড়ি সাংসদকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।
এই ঘটনার পর দিনই লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লাকে লিখিতভাবে অভিযোগ জানান সুকান্ত। অভিযোগ ছিল, ‘সন্দেশখালি যেতে বসিরহাট ও টাকিতে তাকে বাধা দিয়েছে রাজ্য পুলিশ। এমনকী অসুস্থ হওয়ার পরও পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে যেতেও বাধা দেয়।’ এমনকী তার প্রাণ সংশয় হতে পারে এমন পরিস্থিতিও তৈরি হয়েছিল বলে অভিযোগ জানানো হয়।
সাংসদের অভিযোগের ভিত্তিতে রাজ্য পুলিশের ডিজিপি রাজীব কুমার-সহ তিন পুলিশকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে লোকসভার স্বাধিকার রক্ষা কমিটি। রাজ্যের মুখ্যসচিব বিপি গোপালিক এবং উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক শরৎকুমার দ্বিবেদীকেও প্রিভিলেজ কমিটি ডেকে পাঠায়।
আরও পড়ুন: বাংলায় ফের বাড়বে DA, রাজ্য সরকারি কর্মীদের কার অ্যাকাউন্টে কত টাকা ঢুকবে? দেখুন হিসেব
সোমবার সকাল সাড়ে দশটায় লোকসভার স্বাধিকার রক্ষা কমিটির মুখোমুখি হতে বলা হয়েছিল তাদের। তবে তার আগেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন মুখ্যসচিব। সোমবার বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবী কপিল সিব্বল ও আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি। এর পরই স্থগিতাদেশ জারি করলাগছে সুপ্রিম কোর্ট। মামলায় সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নোটিস দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।