বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লোকসভার লড়াই শেষ হতেই রাজ্যে ফের ভোটের দামামা। বাংলার ৪টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে এবার। এর মধ্যে মানিকতলা কেন্দ্রের দিকে নজর রয়েছে অনেকের। কারণ এই আসনে এবার তৃণমূলের হয়ে লড়বেন প্রয়াত বিধায়ক সাধন পাণ্ডের স্ত্রী সুপ্তি পাণ্ডে। সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে মেয়ে শ্রেয়ার (Shrreya Pande) নাম উঠে এলেও, শেষ অবধি অভিজ্ঞতার ওপরই ভরসা রেখেছে জোড়াফুল শিবির (Trinamool Congress)।
ইতিমধ্যেই মানিকতলা উপনির্বাচনের (Maniktala Assembly By Election) জন্য ৪ সদস্যের একটি কমিটি বানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কমিটিতে রয়েছেন কুণাল ঘোষও (Kunal Ghosh)। বুধবার সকালেই সুপ্তির বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি। সাধন-পত্নীর সঙ্গে তাঁর মানিকতলা নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে খবর। বুধবার বিকেলে কোর কমিটির সদস্যরা এই নিয়ে বৈঠকে বসবেন বলে খবর।
মানিকতলা উপনির্বাচনে কাকে টিকিট দেবে TMC, তা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে জোর চর্চা চলছে। শেষ অবধি সুপ্তির নামেই শিলমোহর দিয়েছে দল। এই প্রসঙ্গে আজ সাধন-পত্নী (Sadhan Pande) বলেন, ‘কিছু মানুষ রয়েছে, যারা আমার মেয়েকেও খুব পছন্দ করেন। ওর গ্রহণযোগ্যতা মারাত্মক’। সাধন পাণ্ডে যখন অসুস্থ ছিলেন, তখন তাঁর চিকিৎসার খাতিরে সুপ্তিকেও (Supti Pande) বাইরে থাকতে হতো। তখন প্রত্যেক মুহূর্তে কীভাবে শ্রেয়া দলের কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তা এদিন বলেন সুপ্তি।
আরও পড়ুনঃ ED পেটানোর তদন্তে নয়া মোড়! চার্জশিটে বিস্ফোরক তথ্য ফাঁস করল CBI … তোলপাড় রাজ্য!
এবার মানিকতলার সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে শ্রেয়ার নাম উঠে এলেও, তাঁকে টিকিট দেয়নি TMC। মা সুপ্তির ওপরেই আস্থা রেখেছে দল। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বয়স কম। ও আশা করতেই পারে, প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নিজেকে প্রমাণ করব। ও যদি প্রমাণ করার সুযোগ পেত, তাহলে জিতেও যেত। তবে দলনেত্রী অভিজ্ঞতাকে জোর দিয়েছেন। আমাদের ব্যক্তিগত সম্পর্ককেজোর দিয়েছেন। আমাদের মা-মেয়ের সম্পর্ক। মায়ের কাছে মেয়ে আসবে না, এটা তো আর হয় না। ১০০% শ্রেয়া আমার পাশে থাকবে। শ্রেয়াকে নিয়েই আমি যা করার করব’।
এদিকে মানিকতলা কেন্দ্রে সুপ্তির জয়ের বিষয়ে আশাবাদী কুণাল। এদিন বৈঠক শেষে TMC নেতা বলেন, ‘সুপ্তিদি ভীষণ পলিটিক্যাল। বৌদি সব কর্মীদের নাম ধরে চিনতেন। কার কী অসুবিধা, সমস্যা সেসব জানতেন। অনেক ক্ষেত্রেই দাদা হয়তো যেতে পারেনি, বৌদি ঠিক কর্মসূচিতে পৌঁছে গিয়েছেন। তবে বৌদি সবসময় চৌকাঠটা বজায় রেখেছেন। দাদার অকাল মৃত্যুর পর তো তাঁকে আসতেই হবে’।
কুণাল এদিন বলেন, মানিকতলা থেকে রেকর্ড ভোটে জয়ী হতে চলেছেন সুপ্তি। এবার বিধায়কের আসনে বসতে চলেছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গাইডলাইন বেঁধে দিয়েছেন। পরিবারের মতো হইহই করে আমরা নেমে পড়েছি। হোমওয়ার্ক চলছে’।