বাংলাহান্ট ডেস্ক: নব্বইয়ের দশকের সুপারহিট বাংলা গান মানেই অবধারিত ভাবে প্রথম সারিতেই উঠে আসবে ‘বারান্দায় রোদ্দুর’। সিনেমার প্লেব্যাকের জমানায় ব্যান্ডের গানকে নতুন দিশা দেখিয়েছিল ভূমি। এত বছর পেরিয়ে এসে আজকের দিনেও সমান জনপ্রিয় ভূমির প্রতিটি গান। সেই সঙ্গে শ্রোতাদের কাছের মানুষ হয়ে উঠেছেন গায়ক সুরজিৎ চট্টোপাধ্যায় (surajit chatterjee)।
দীর্ঘ ২০ বছর ধরে মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে রয়েছেন তিনি। উপহার দিয়েছেন বহু গান। কিন্তু সুরজিতের প্রিয় হয়ে রয়েছে গিয়েছে সেই ‘বারান্দায় রোদ্দুর’। গানটিকে নিজের ভগবান বলে মানেন তিনি। এতদিন ধরে সুপার ডুপার হিটের তকমাটা ধরে রাখা তো চাট্টিখানি কথা নয়।
তবে যে সুরজিৎকে আজ সকলে চেনে ২০ বছর আগে কিন্তু এমনটা ছিলেন না তিনি। সোনার চামচ মুখে জন্মাননি তিনি। স্ট্রাগল করে আজকের এই জায়গাটা পেতে হয়েছে তাঁকেও। এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে গায়ক জানান, অনেক কোম্পানি ফিরিয়ে দিয়েছে তাঁকে। স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে এ গান চলবে না।
হাতে টাকা ছিল না সে সময়। পরের দিনটা কীভাবে চালাবেন সেই চিন্তাই যখন মাথায় জাঁকিয়ে বসে তখন কিন্তু বাঁচিয়েছিল তাঁর গানই। হঠাৎ করে কোনো বিজ্ঞাপনের সুযোগ এসে গিয়েছে। তখন চার পাঁচ লাইন গাওয়ার জন্য পারিশ্রমিক পেতেন মাত্র ৫০০ টাকা। সেটা দিয়েই কিছুদিন চালাতেন। তারপর ফের মঞ্চের খোঁজ।
মঞ্চ যখন পেয়েছেন তখন সেটা আর হেলায় হারিয়ে যেতে দেননি সুরজিৎ। তার জন্য গিটার, বাঁশি বাজানো শিখেছেন। আজ অন্যতম জনপ্রিয় গায়ক তিনি বাংলা মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে। পুজোর সময় নিয়ে আসছেন নতুন গানের আ্যালবাম ‘গান শোনার গান’।
তবে এ অ্যালবামে কোনো ভিডিও নেই। আসলে শ্রোতাদের কল্পনা শক্তিতে হস্তক্ষেপ করতে চাননি তিনি। তাই কোনো ভিডিও নেই। নিজেদের মতো করেই চরিত্রদের ভেবে নিতে পারবেন শ্রোতারা। সুরজিৎ জানালেন এ অ্যালবামে তিনি একা গান করেননি। তাঁর সঙ্গে রয়েছে বেশ কয়েকজন নতুন প্রতিভা, যাদের গানকে সুযোগ দেওয়াটাও জরূরি বলে মনে করেন সুরজিৎ।
বাবার দেখাদেখি মেয়ে অন্বেষাও গানের জগতেই এসেছেন। কিন্তু সুরজিৎ জানান, মেয়ে কিছুতেই তাঁর সামনে গান গাইতে চায় না। একাধিক বাদ্যযন্ত্র বাজাতে ওস্তাদ মেয়ে অন্বেষা। ভায়োলিন, গিটার, পিয়ানো সবই বাজাতে পারেন তিনি। এবার বাবার জন্য বাঁশিতেও হাত পাকাচ্ছেন অন্বেষা।
আরজিকর কান্ডে বিতর্কিত মন্তব্যের পর, পুজো উদ্বোধনে সৌরভ বললেন, ‘এই শেষ…’