উদ্বোধনের আগেই চুরি গেল মালদহের সেলফি জোনের আলো! ভাইরাল ভিডিও ঘিরে শোরগোল

বাংলা হান্ট ডেস্ক: অবাক কান্ড! উদ্বোধনের আগেই চুরি হয়ে গেল মালদহের সেলফি জোনের আলো! ঘটনাটি ঘটেছে মালদহ শহরের শুভঙ্কর বাঁধে। কিছুদিন আগেই এই বাঁধে “আই লাভ মালদহ”, এই প্রতীক-সহ সেলফি জোন তৈরি করে ইংরেজবাজার পুরসভা।

কিন্তু, সেই সৌন্দর্যায়ন প্রকল্পের কাজ শেষ না হতে হতেই “সেলফি জোন” থেকে উধাও হয়ে গেল অত্যাধুনিক লাইট। সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরাও পড়েছে চুরির ছবি। যা ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতেও!

পুরসভার পক্ষ থেকে শুরু হওয়া এই “সেলফি জোন” আপাতত পরীক্ষামূলকভাবে চালু হলেও, দিনকয়েকের মধ্যেই এটি সহ “বাঁধ রোড সৌন্দর্যায়ন প্রকল্প”-র উদ্বোধন করার পরিকল্পনা ছিল পুরসভার। তার আগেই এই চুরির ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো হইচই পড়েছে।

যদিও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে যে, সিসিটিভি ক্যামেরায় চুরির ঘটনা ধরা পড়ার পর অভিযুক্তকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এমনকি, চুরি যাওয়া লাইটও উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। তবে এখনও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।

robbery

এদিকে, গোটা ঘটনায় চিন্তিত ইংরেজবাজার পুরসভা। এভাবে তৈরির পরেই নতুন প্রকল্পের আলো চুরির মতো ঘটনায় অবাকও হয়েছেন সকলে। এই প্রকল্পের রক্ষণাবেক্ষণ শুধু পুরসভার একার পক্ষে সম্ভব নয়। পাশাপাশি, সাধারণ মানুষকে আরও সজাগ হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ইংরেজবাজার পুরসভার প্রশাসনিক মন্ডলীর চেয়ারপার্সন সুমালা আগরওয়ালা। এমনকি, দ্রুত সেলফি জোনের আলো ফের নতুন করে লাগানো হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মহানন্দা নদীর ধারে এই সেলফি জোনের ছবি তুলে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই আপলোড করেছেন অনেকেই। নবনির্মিত তৃতীয় মহানন্দা সেতু আর পেছনে বইতে থাকা মহানন্দার দৌলতে দৃষ্টিনন্দন হয়ে উঠেছে জায়গাটি। স্বাভাবিকভাবেই, এই জায়গায় নতুন করে “সেলফি জোন” বাড়তি আকর্ষণ তৈরি করেছে।

দিনের পাশাপাশি সন্ধ্যার পর ওই এলাকাকে আকর্ষণীয় করে তুলতে বাড়তি আলোর ব্যবস্থা করে পুরসভা। অত্যাধুনিক এই আলোর ফলে রাতেও সেলফির জন্য ছবি তোলার হিড়িক দেখা যায় সাধারণের মধ্যে। কিন্তু, আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের আগেই এই চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর