বাংলা হান্ট ডেস্ক : একটি অ্যাকাউন্টের মালিক দুজনে। যদিও অ্যাকাউন্টের যাবতীয় সুবিধা পান একজনই। কারণ, একজন টাকা অ্যাকাউন্টে জমা হচ্ছে ভেবে শুধুই জমা দেন আর সেই টাকা তুলে নেন অন্য জন। কি ঘাবরে গেলেন তো, হ্যাঁ খানিকটা ঘাবরানোর কথা। তাহলে খোলসা করেই বলা যাক। মধ্যপ্রদেশের আলমপুরে দুই ব্যক্তির নান হুকুম সিং। দুজনেরই ওই একই নামে আলমপুর স্টেট ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট রয়েছে। আআর দুজনেরই অ্যাকাউন্ট নম্বর এক। তাই এক হুকুম সিং টাকা জমা দিচ্ছেন আর অন্য হুকুম সিং টাকা তুলছেন। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছাড়াল মধ্যপ্রদেশ আলমপুর স্টেট ব্যাঙ্কে।
জানা গিয়েছে এক হুকুম সিং এর বাড়ি মধ্যপ্রদেশের আলমপুরের রুরই গ্রামে, আর অন্য হুকুম সিংহের বাড়ি রোনি গ্রামে। রোডই গ্রামের হুকুম সিং কাজের সন্ধানে হরিয়ানায় চলে গিয়েছিলেন তার পর সেখান থেকে দিন মজুরি খেটেই নিজের অ্যাকাউন্টে কিছু কিছু করে টাকা ফেলতেন। সেই চাকা যে নিজের অ্যাকাউন্টে যোগ হচ্ছে না তা কোনও ভাবেই বুঝতে পারতেন না হুকুম সিংহ, কারণ প্রতি মাসে তাঁর পাঁচ হাজার টাকা করে জমা দেওয়া টাকা ঢুকেছে রোনু গ্রামের হুকুম সিনের অ্যাকাউন্টে। যিনি মোদী সরকার 15 লক্ষ টাকা করে দেবে বলে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সেই টাকা কিস্তিতে ঢুকছে বলেই মনে করেন।
भिंड के रूरई के हुकुम सिंह पैसे डालते रहे, रोनी गांव के हुकुम सिंह निकालते रहे क्योंकि उन्हें लगा पैसे मोदीजी वायदे के मुताबिक भेज रहे हैं!बैंक ने दोनों को एक ही खाता नंबर दे दिया था @AunindyoC @rssurjewala @INCIndia @BJP4India #धरतीपुत्र_मुलायमसिंह #gonnatellmykids pic.twitter.com/SeAu1TKz9P
— Anurag Dwary (@Anurag_Dwary) November 22, 2019
আর এ ভাবেই বিনা সংশয়ে মাসের পর মাস টাকা তুলে যাচ্ছিলেন তিনি কিন্তু হঠাত্ ওই গ্রামের বাসিন্দা হুকুম সিংহ যখন টাকা তুলতে যান ঠিক তখনই তাঁর মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে কারণ এত দিন অবধি তিনি যে পরিমাণে টাকা জমিয়েছেন তাতে প্রায় এক লক্ষ চল্লিশ হাজার টাকা থাকার কথা কিন্তু সেখানে পড়ে রয়েছে মাত্র 35,400 ঢাকা। তা হলে এত দিন অবধি যে পাঁচ হাজার টাকা করে তিনি ফেলতেন গেল কোথায়?
প্রশ্নের উত্তর খোঁজা তো দুরের কথা কার্যত পাগল হওয়ার অবস্থা হয়েছিল রুরই গ্রামের হুকুম সিংহ এর। ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করলে সে ভাবে সহযোগিতা করা হয়নি ব্যাঙ্কের তরফে এর পর আমার অনেক কাকুতি মিনতির পরে ব্যাংক তদন্ত করে ওই একই নাম এবং নম্বরের অ্যাকাউন্ট পাসবই উদ্ধার করেন। এবং পরে ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়। আর এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে রুনি গ্রামের হুকুম সিং বলেন, তিনি নাকি মোদীজির টাকা পাঠাচ্ছেন ভেবে টাকা তুলেছেন তাই এই দায় কোনও ভাবেই তাঁর নয়।
তবে শেষ অবধি ঠিক কী হল? তা আমাদের জানা নেই তবে এ ভাবে একই ব্যাংকে একই নামে কী ভাবে একই অ্যাকাউন্ট নম্বর দুই ব্যক্তির হতে পারে? তা নিয়ে কিন্তু প্রশ্ন উঠছে। যদিও সে বিষয়ে ব্যাংকের তরফ থেকে কিছু জানানো হয়নি।