বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভারতের অর্থনৈতিক বিকাশে উল্লেখযোগ্য ভাবে অবদান রাখছে বিয়ার (Beer)। ‘অক্টোফোর্ড ইকোনমিক্স’র সমীক্ষার উপর ভিত্তি করে ‘ব্রিউয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া’ বা বিএআই জানিয়েছে, অ্যালকোহলভিত্তিক পানীয় বিয়ারের হাত ধরে ২০২৩ সালে ৯২ হাজার ৩২৪ কোটি টাকা এসেছে দেশের অর্থনীতিতে।
বিয়ার (Beer) নিয়ে ‘ব্রিউয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া’র রিপোর্ট
মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনে (গ্রস ডোমেস্টিক প্রোডাক্ট বা জিডিপি) প্রায় ০.০৩% অবদান রেখেছে এই পানীয়টি। বিএআইয়ের প্রকাশিত তথ্য বলছে, ৯২ হাজার ৩২৪ কোটি টাকার মধ্যে ৪০ হাজার ৫০ কোটি টাকা এসেছে বিয়ার উৎপাদনকারী সংস্থাগুলি থেকে। পাশাপাশি ডাউনস্ট্রিম ভ্যালু চেন থেকে যুক্ত হয়েছে ৫২ হাজার ২৩৯ কোটি টাকা।
আরোও পড়ুন : দর্শকদের ভয়টাই সত্যি হল, নতুন মেগাকে জায়গা দিতে বিদায় নিল এই সিরিয়াল!
এমনকি পরিসংখ্যান বলছে, উল্লেখযোগ্যভাবে সরকারের রাজস্ব আদায়ও বৃদ্ধি হয়েছে বিয়ার (Beer) থেকে। আবগারি শুল্ক, বিক্রয় কর এবং অন্যান্য কর মিলিয়ে ৫১ হাজার ৩৭৬ কোটি টাকা রাজস্ব হিসাবে এসেছে সরকারের কোষাগারে, অর্থাৎ সরকারি করের ১.৮ শতাংশই এসেছে বিয়ারের ‘কল্যাণে।’ সমীক্ষকদের দাবি, বিয়ার শিল্পের হাত ধরে দেশে কর্মসংস্থান হয়েছে প্রায় ১৩ লক্ষ মানুষের।
আরোও পড়ুন : সিরিয়ালের মাঝেই নায়িকার মুখবদল, গল্প ফুরোতেই ফের জলসায় ফিরছেন অভিনেত্রী
এদের মধ্যে প্রায় ৫.৪ লক্ষ মানুষ কাজ করেন বিয়ার (Beer) প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলিতে। পাশাপাশি পানীয় তৈরির কাঁচামাল সরবরাহ থেকে রেস্তরাঁ-পাব এবং খুচরো ব্যবসার মাধ্যমে কর্মসংস্থান হয়েছে প্রায় ৭.৮ লক্ষ জনের। প্রসঙ্গত, বিয়ারের জনপ্রিয়তা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে ভারতীয় উপমহাদেশে। ২০২৩ সালে বিশ্ব জিডিপিতে বিয়ারের অবদান ছিল ৮৭ হাজার ৮০০ কোটি ডলার, ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৭৬.৪৫ লক্ষ কোটি টাকা।
‘ব্রিউয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া’-র ডিরেক্টর জেনারেল বিনোদ গিরি জানিয়েছে, ‘‘এই অ্যালকোহলভিত্তিক পানীয়টি পুরোপুরি স্থানীয়। বিয়ারের (Beer) চাহিদা বেশি হওয়ায় অর্থনীতিতে তা দারুণ ভাবে প্রভাব ফেলেছে। কৃষকদের থেকে বার্লি কেনা হোক বা প্যাকেজিং— সবটাই হচ্ছে ঘরোয়া বাজারে। আর্থিক দিক থেকে লাভবান হওয়ার এটাই মূল কারণ।’’